দাড়ি গজাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল

সাধারণত ছেলেদের চেহারার সবথেকে সুন্দর মানান হচ্ছে দাড়ি। তবে অনেকের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে এই দাড়ি গজায় না তাই তাদের বিপরীত পন্থা অবলম্বন করতে হয়। যাদের মূলত দাঁড়ি অনেক কম তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই এমন কিছু ঔষধ আছে যেগুলো সেবনের মাধ্যমে যে দাড়িগুলো চামড়ার নিচে থেকে যায় সেগুলো গজাতে সাহায্য করে। তবে অবশ্যই এই ঔষধ গুলো প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সেবনযোগ্য।

আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছি মুখের দাড়ি যাদের কমে গেছে বা কম তাদের ক্ষেত্রে মুখের দাড়ি কিভাবে গজাবে অতি দ্রুত সে সম্পর্কে। অনেকের ধারণা আছে “ভিটামিন ই” ক্যাপসুল খেলে দাড়ি গজায় সে সম্পর্কেও। তাই আপনারা যারা এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তারা আমাদের এখান থেকে আজকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

“ভিটামিন ই” ক্যাপসুল খেলে কি দাড়ি গজায়

সাধারণত আমরা জানি যে “ভিটামিন ই” আমাদের শরীরে বহু উপকারে আসে তার মধ্যে অন্যতম একটি উপকার হচ্ছে আমাদের শরীরে লোমের গোড়া শক্ত করতে এবং অতিরিক্ত লোম বৃদ্ধিতে “ভিটামিন ই” কাজে লাগে। যাদের চুলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে যেমন চুল পড়ার সমস্যা এবং চুল এর গোড়া হালকা হওয়ার সমস্যা তাদের অবশ্যই “ভিটামিন ই” খেতে বলা হয়।

তবে এই ক্ষেত্রে অনেকের মনে দুশ্চিন্তা আছে যাদের দাড়ি কম আছে তারা “ভিটামিন ই” খেলে দাড়ি গজাবে কিনা। সাধারণত “ভিটামিন ই” এমন একটি উপাদান যেটা আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি অংশে কাজ করে তাই স্বাভাবিকভাবেই আপনি যদি “ভিটামিন ই” ক্যাপসুল খান তাহলে সেটা আপনার দাড়ি বেশি গজাতে সাহায্য করবে। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে তার কারণ হলো ডাক্তার আপনার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে আপনাকে ভিটামিন খেতে বলবে এবং সেটা কোন ভিটামিন সেটা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে খেতে হবে।

দাড়ি গজানোর সহজ উপায়

আজকালকার দিনে ছেলেদের চেহারাকে সুন্দর রাখতে এবং ছেলেদের চেহারা কি স্মার্ট রাখতে সকলে দাড়ি রাখতে পছন্দ করেন। তবে এই দাড়ি রাখা মূলত মুসলমান জাতির জন্য সুন্নত তার কারণ হলো আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সারা জীবন মুখে দাড়ি রেখেছেন। তাই আমাদের স্বাভাবিকভাবে দাড়ি রাখা উচিত তবে যাদের দাড়ি একটু হালকা বা পাতলা তাদের বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে এই দাড়ি মোটা করা যেতে পারে।

বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যেই ঘরোয়া পদ্ধতি আপনি আপনার গালে এপ্লাই করতে পারেন যার ফলে আপনার দাড়ির বৃদ্ধি অনেক বেড়ে যাবে। এই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করে আপনি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া নিজের দাড়িগুলো আগে থেকে আরও বেশি‌ কালো ও ঘন করতে পারবেন। তবে অতি দ্রুত দাড়ি বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তার যেভাবে আপনাকে ঔষধ খেতে বলে এবং যেভাবে পুষ্টিকর খাবার খেতে বলে সেগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সাধারণত ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি যদি দাড়ি মোটা ও লম্বা করতে চান তাহলে আপনাকে দুটি লেবু ভালোভাবে কেটে নিতে হবে এবং “ভিটামিন ই” ক্যাপসুল জেল বাটির মধ্যে ঢেলে নিতে হবে। এরপরে সে জেলের মধ্যে হাফ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল দিতে হবে এবং এর পরে আপনাকে এক চা চামচ পেঁয়াজের রস এর সঙ্গে যোগ করতে হবে। ওই যে দুটি লেবু কেটে রেখেছিলেন সেই লেবুর রস এখানে যোগ করতে হবে এবং এরপরে এর মধ্যে আপনারা যোগ করতে পারেন কালোজিরার পেস্ট।

যখন সমস্ত উপাদান গুলো একইসঙ্গে মেশানো হবে তখন খুব ভালোভাবে এগুলো নাড়তে হবে এবং সেগুলো মেশানোর পরে আপনার দাড়ির গোরাতে এপ্লাই করতে হবে। এই ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি অতি সহজে নিজের দাড়ি আগের থেকে আরও ঘন করতে পারেন তবে অবশ্যই এই ক্ষেত্রে আপনাকে কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে এবং এগুলো সপ্তাহে অন্তত দুইবার আপনার দাড়িতে এপ্লাই করতে হবে।