
অতীতের সত্য ঘটনা অবলম্বনে ইতিহাস রচিত হয়ে থাকে। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে সাময়িক পর্যায়ে হোক অথবা বিস্তারিতভাবে হোক ইতিহাস পাঠ করা প্রয়োজন। আপনি যদি ইতিহাস পাঠ করেন তাহলে আপনার পূর্ব প্রজন্ম কিভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন অথবা কিভাবে তারা দৈনন্দিন জীবন পরিচালনা করেছেন এ সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। অথবা সেই সময়ের সভ্যতা কেমন ছিল অথবা সামাজিক ব্যবস্থা কেমন ছিল এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। পৃথিবী একটা ছোট গ্রহ হলেও এখানে বিভিন্ন জাতীয় অথবা বিভিন্ন বর্ণের মানুষ বসবাস করেন।
এখানকার মানুষের বিভিন্ন ধরনের চাহিদা অথবা বিভিন্ন ধরনের বিষয়গুলো খুব সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে। আপনি যদি বাংলাদেশে বসবাস করেন তাহলে আপনাকে বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে হবে। আপনি যদি ইতিহাস পাট না করেন তাহলে বুঝতে পারবেন না এই দেশ কিভাবে তৈরি হলো অথবা এই রাষ্ট্রের পেছনে কাদের অবদান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে আমরা যখন সত্য ঘটনা জানতে পারি তখন অনেক রহস্য সেখান থেকে বেরিয়ে আসে যা আমাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
তাছাড়া ইতিহাসের মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটা সমাজ ব্যবস্থা, নির্দিষ্ট একটা রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা, নির্দিষ্ট কূটনৈতিক কৌশল এবং অর্থনৈতিক কৌশল সহ বিভিন্ন ধরনের ধারণা অর্জন করা যায়। ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ রাজাদের অথবা বিভিন্ন শাসকদের সম্পর্কে আমরা ধারণা অর্জন করতে পারি এবং তারা কিভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তা বুঝতে পারি। তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের ভুল আমাদের শিক্ষা প্রদান করে যা আমাদের পরবর্তীতে যাতে ভুল না হয় সে বিষয়গুলো আমরা লক্ষ্য করে চলতে পারি।
ইতিহাস যদিও একটি কাঠখোট্টা বিষয় তারপরও যারা ইতিহাসের রহস্যে একবার ডুব দিতে পেরেছেন তাদের ভেতরে দেখবেন যে নিত্যনতুন ইতিহাসের বই পড়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। কারণ কোন না কোন ভাবে একটা ইতিহাসের সঙ্গে আরও একটি ইতিহাস জড়িত রয়েছে অথবা একটা চরিত্রের সঙ্গে আরও একটা মানুষের জীবন জড়িত রয়েছে। তাই ইতিহাস থেকে আমরা প্রত্যেকটি স্তর হতে শিক্ষা অর্জন করতে পারি এবং এগুলো আমাদের জীবনে যদি প্রতিফলিত করতে পারি তাহলে সেই ধরনের ভুল ঘটনার সম্ভাবনা কোন ভাবে থাকবে না।
আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের সাহিত্য পড়লেও সেই সময়ের সমাজ ব্যবস্থা বুঝতে পারি এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের রসকষ মিশিয়ে খুব সুন্দরভাবে কাহিনী গুলো উপস্থাপন করা হয় বলে আমরা খুব সাদরে গ্রহণ করি। কিন্তু সেখানকার প্রত্যেকটি কাহিনী সত্য নয় বলে তা ইতিহাস বলে বিবেচিত হয় না। প্রকৃতপক্ষে ইতিহাস তখনই গ্রহণযোগ্য হবে যখন সেখানে সত্য ঘটনা উপস্থাপন করা হবে।
ইতিহাসে কোন চরিত্র কিভাবে মৃত্যুবরণ করল অথবা কোন বিষয়গুলো কিভাবে পরিচালিত হলো এ বিষয়গুলো খুব সুন্দর ভাবে ফুটে তুলে বলে আমাদের কাছে হয়তো অনেকেই মনে করেন এগুলো কঠিন বিষয় এবং অনেকেই এর স্বাদ যদি গ্রহণ করতে পারে তাহলে এগুলো অমৃত বলে মনে হয়।
তাই বাস্তবিক জীবনে বিভিন্ন ধরনের রঙ্গ তামাশার বিষয়গুলো না দেখে আমরা যদি একটু ইতিহাস পাঠ করতে পারি অথবা নিয়মিতভাবে প্রত্যেকদিন ১০ মিনিট হোক অথবা এক ঘন্টা হোক অথবা ৩০ মিনিট হোক যদি ইতিহাস সম্পর্কে জানার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতে পারি তাহলে দেখব যে একটা সময় আমাদের এই জানার পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি হয়েছে যা অন্য কাউকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাই ইতিহাস পাঠ করুন এবং অতীত সম্পর্কে জানুন।
Leave a Reply