আপনারা যারা টাইটেল দেখে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে ফজরের নামাজের আমল সম্পর্কে জানতে এসেছেন তাদেরকে স্বাগতম জানাচ্ছি এবং এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জেনে নিতে পারবেন। একজন মুসলমান হিসেবে আপনি যখন ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য উঠবেন এবং সুন্দরভাবে ফজরের নামাজ আদায় করবেন তখন এই নামাজ শেষ হবার পর অবশ্যই বেশ কিছু আমল রয়েছে যেগুলো আপনারা করতে পারেন।
প্রকৃতপক্ষে এই আমলগুলো আপনার দুনিয়ার জীবনে যেমন অনেক উপকার প্রদান করবে তেমনি ভাবে আপনি আখেরাতের জীবনে নিজেকে অন্যান্য মুমিন ব্যক্তিদের কাতারে নিয়ে যেতে পারবেন। মুসলমান হিসেবে যে দিনের যাবতীয় ক্লান্তি শেষ করে তাড়াতাড়ি যেমন ঘুমিয়ে পড়া উচিত তেমনিভাবে সূর্যাস্তের আগে আগে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করা উচিত। তাই আপনারা যারা ফজরের নামাজ আদায় করার পর বিভিন্ন ধরনের আমল সম্পর্কে জানতে চান তারা এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন এবং সেই আমলগুলো নিয়মিত করুন।
দিনের অন্যান্য ক্ষেত্রে চার ওয়াক্ত নামাজ থাকলেও ফজরের নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ নামাজ। আপনি যখন আরামের ঘুম হারাম করে ফজরের নামাজ জামাতে গিয়ে আদায় করবেন তখন আপনি একজন পূর্ণবান ব্যক্তি হবেন। তাই মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে এবং ইসলামিক ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলার উদ্দেশ্যে নামাজকে যেহেতু ফরজ করা হয়েছে সেহেতু আপনারা ফজরের নামাজ আদায় করতে পারেন। তাছাড়া ফজরের সালাতের জন্য ডেকে তোলার জন্য আমাদের সব সময় আজানের মাধ্যমে ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম এই কথাটি বারবার বলা হয়ে থাকে। আপনার কাছে যদি এটি মনে হয় এবং আপনি যদি তা মেনে চলতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সূর্যাস্তের পূর্বে উঠে নামাজ আদায় করতে হবে।
তাই ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য আপনারা একটু কষ্ট হলেও উঠবেন এবং দেখবেন যে আপনার দিন যেমন তাড়াতাড়ি শুরু হচ্ছে তেমনি ভাবে আপনি অন্যান্য সকলের চাইতে খুব সহজভাবে বেশি কাজ করতে পারছেন। তাই ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুসরণ করে আমরা যেমন এটার অনেক ফজিলত পাবো তেমনি ভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক উপকার পাবে। এটা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তেমনি ভাবে এটা আমাদেরকে অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখতে পারে। ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য আপনারা মসজিদে উপস্থিত হয়ে নামাজ আদায় করবেন এবং চার রাকাত নামাজ আদায় করতে আপনাদের আহমরি কোন কষ্ট হবে না।
এখন আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন যে ফজরের নামাজ আদায় করার পর কোন দোয়া বা কোন আমল করলে সবচাইতে ভালো হয় তাদেরকে এই পোষ্টের মাধ্যমে এই তথ্যগুলো জানিয়ে দেবো। প্রথমত সকল নামাজের আদায় শেষে আপনারা যে কোন মুহূর্তে ইবাদতগুলো করতে পারেন। তারপরও ফজরের নামাজ আদায় করার পর আপনারা তাজবিহ পাঠ করতে পারেন এবং তাজবিহ পাঠ করা ছাড়াও হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম” সাতবার করে পড়তে পারেন। তবে ফজরের নামাজের পর আপনারা যদি আমল সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনাকে বলব যে আপনি যদি নামাজ শেষ করার পর আয়তুল কুরসি পড়তে পারেন তাহলে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটা আমল করা আপনার জন্য সম্ভব হবে।
আয়াতুল কুরসি পাঠ করার জন্য আপনারা এটা অবশ্যই শিখে নেবেন এবং এছাড়াও অন্যান্য যে সকল ইবাদত রয়েছে সেগুলো আপনারা করতে পারেন। আপনাদের সুবিধার জন্য অর্থাৎ আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য আপনারা যদি নিজের দোয়াটি পাঠ করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার অনেক উন্নতি হচ্ছে এবং আপনি কিয়ামতের দিন আল্লাহপাকের সন্তুষ্ট করতে পারবেন। এই দোয়াটি হল:-
رَضِيتُ باللهِ رَبَّاً، وَبِالْإِسْلَامِ دِيناً، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيَّاً
উচ্চারণ : রাজিতু বিল্লাহি রব্বাওঁ ওয়াবিল ইসলামী দ্বিনাওঁ ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা।
অর্থ : আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বিন হিসেবে ও মুহাম্মাদ (সা.)-কে নবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট।
আপনি যদি ফজরের নামাজের পরে ইয়াসিন পাঠ করতে পারেন তাহলে খুব ভালো হবে। তাছাড়া জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য আপনারা যদি ফজরের নামাজ এবং মাগরিবের নামাজের পরে নিজের দোয়াটি পাঠ করেন তাহলে আপনাদের জন্য অনেক ভালো হবে এবং এটার ক্ষেত্রে আপনি অনেক ফজিলত পেয়ে যাবেন। দোয়াটি হল:-
اللهم أجرني من النار উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্ নার।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করুন।
Leave a Reply