ঘুমানোর আগে আমল

ঘুমানোর আগে আমল

আমরা যারা মনে করে থাকি ঘুমালে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে আমাদের শরীরে আবার শক্তি ফিরে আসে এবং আমরা যাবতীয় ক্লান্তি দূর করে নতুনভাবে কাজ শুরু করতে পারি তাদেরকে বলবো যে ঘুমানো একটি ইবাদতও বটে। তাই আপনি যখন ঘুমাবেন তখন অবশ্যই রাসূলের সুন্নাহ এবং তরিকা অনুসরণ করে যদি ঘুমাতে পারেন তাহলে আপনি অবশ্যই এটা এক ধরনের ইবাদত হিসেবে পালন করতে পারবেন।

তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা যারা ঘুমানোর আগে বিভিন্ন ধরনের আমল করে ঘুমাতে চান অথবা আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সকল নিয়মগুলো মেনে চলতেন সেগুলো আজকে আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। এতে করে আপনারা ঘুমানোর আগে যথাযথ আমল মেনে চলতে পারবেন এবং স‌ওয়াব অর্জন করতে পারবেন। নিচে আপনাদের জন্য বিস্তারিত ভাবে ঘুমানোর আগে যে সকল আমলগুলো করতে হবে সেগুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলাম।

প্রত্যেকদিন রাতের বেলায় ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনারা যদি তিনটি কুল পড়ে ফু দিতে পারেন তাহলে সেটা সবচাইতে ভালো হবে। এখানে আপনারা যারা তিন কুল বলতে বুঝতে পারছেন না তাদেরকে বলব যে সূরা ইখলাস সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পড়ে ফু দিতে হবে এবং সেই ফু আপনার হাতের তালুতো দিয়ে সেটা দিয়ে যতটা পারেন ততটা পুরো শরীর মাসেহ করার চেষ্টা করবেন। মাসেহ করার ক্ষেত্রে মাথা এবং মুখমন্ডল করতে হবে।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ সব সময় ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমানোর কথা বলেছেন। আয়াতুল কুরসি পড়ে যদি বুকে তিনবার ফু দিতে পারেন তাহলে কোন শয়তান আপনার ধারে কাছে সারা রাতের ভেতরে আসতে পারবে না এবং এটা বুখারি হাদিসে উল্লেখ আছে বলে আপনারা অবশ্যই তা পালন করে রাখতে পারেন।

আপনি যদি সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করতে পারেন তাহলে সেটা সবচাইতে ফজিলত পূর্ণ হবে এবং এক্ষেত্রে ঘুমানোর আগে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করার চেষ্টা করবেন। আপনি যখন সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবেন তখন দেখা যাবে যে এটা আপনার জন্য যথেষ্ট হবে এবং এক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম সরাসরি যুক্তি প্রদান করেছেন।

তাছাড়া আপনি যদি সূরা কাফিরুন পাঠ করতে পারেন তাহলে নিজেকে যেমন শিরক থেকে মুক্ত রাখতে পারবেন তেমনি ভাবে নিজের উপকারী হতে পারবেন। তাই অন্যান্য আমলের সঙ্গে আপনারা সূরা কাফিরুন পাঠ করে রাতে ঘুমানোর আগে একটি আমল হিসেবে কাজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনারা যদি কোরআনের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো হবে।

এখন আপনাদের স্বাভাবিকভাবে চিন্তাভাবনা হতে পারে যে এক রাতের ভেতরে অথবা ঘুমানোর আগে এক-তৃতীয়াংশ কোরআন কিভাবে পাঠ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনারা যখন কোরআনের একটি অংশ পাঠ করতে চাইবেন তখন বলব যে আপনি এক-তৃতীয়াংশ পড়তে না পারলেও সূরা ইখলাস যদি পাঠ করেন তাহলে তা এক-তৃতীয়াংশ কোরআন পাঠ করার সমান হবে। তাই ঘুমানোর আগে আপনারা যদি সূরা ইখলাস পাঠ করে ঘুমাতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো হবে।

হয়তো অনেকেই ঘুমানোর নিয়ম জানি না এবং এক্ষেত্রে হয়তো আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ঘুমিয়ে রাত পার করে থাকে। আর সেই জন্য আপনি যখন ঘুমাতে চাইবেন তখন অবশ্যই ডানহান কালের নিচে রেখে ঘুমাতে হবে এবং আপনাকে ডান কাতে ঘুমানোর জন্য বলা হলো। করতে পারেন তাহলে রাসুলের সুন্নত পালন করা হবে।

আপনারা যদি আরো অন্যান্য আমল করতে চান তাহলে তাসবীহ এর আমল করতে পারেন। পাঠ করার জন্য আমরা যেমন সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার এবং আলহামদুলিল্লাহ 33 বার পাঠ করি এবং সেই সাথে আল্লাহু আকবার ৩৪ বার পাঠ করে আপনারা সেই ক্ষেত্রে এই আমল গুলো করতে পারেন।

আপনি যদি মনে করেন সূরা মূলক পাঠ করবেন তাহলে করতে পারেন আর যদি মূলক পাঠ করে ঘুমাতে পারেন তাহলে আপনাকে কবরের আজাব থেকে মুক্তি প্রদান করা হবে। একটি ইবাদত হিসেবে আপনারা ওযু করে ঘুমাতে পারেন এবং উপরের আমলগুলো করতে পারেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*