হাতিশুর গাছের উপকারিতা

হাতিশুর গাছের উপকারিতা

আজকে আবারও আমরা নিয়ে এসেছি শুধুমাত্র আপনাদের জন্য নতুন একটি আর্টিকেল। আজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচ্য বিষয় হল হাতিশুর গাছের উপকারিতা সম্পর্কে। আপনারা অনেকে কমেন্টের মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন হাতিশুর গাছের উপকারিতা সম্পর্কে। ঠিক সেই জন্যই আমরা আজকে নিয়ে এসেছি আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে হাতিশুর গাছের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যগুলো নিয়ে। আশা করি আপনারা যদি আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই জেনে নিতে পারবেন হাতিশুর গাছের সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যগুলো।

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যে আমরা হাতিশুর গাছটি চিনিনা। আর গাছটি যদি আমরা চিনে না থাকি তাহলে কিভাবে এই গাছের সাহায্যে আমরা উপকৃত হব এই বিষয়টি কিন্তু অনেক ভাবার বিষয়। তাই সর্বপ্রথম আমাদেরকে এই কাজটি চিনতে হবে। সাধারণত পুরাতন দালান ঘেঁষে কিংবা রাস্তার ধারে অন্য সব আগাছ আর মাঝে আমরা এই হাতিশুর গাছটি দেখতে পাই। এই গাছটির বাকানো পুষ্প কান্ডে দেখতে পাওয়া যায় ছোট ছোট সাদা রঙের ফুল। 

সেই সাদা সাদা ফুল গুলো দেখতে অবিকল হাতির দাঁতের মতো। ফুলগুলোর আকার আকৃতি এবং দেখতে হাতির দাঁতের মতো হওয়াতে আমরা এই গাছটিকে হাতিশুর নামকরণ হিসেবে চিনে থাকে। এই গাছটি মোটামুটি এক থেকে দেড় ফুট লম্বা হয়ে থাকে। সাধারণত এই গাছের কান্ডগুলো ফাঁপা এবং নরম প্রকৃতির হয়ে থাকে।

এই গাছটির ডালে আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে গাছটির পুরা ডালে ছোট ছোট লোম দিয়ে আবৃত করা থাকে। গাছটির উপরের দিকের কান্ড চৌকো হয়ে থাকে এবং নিচের দিকের কান্ড প্রায় গোলাকার আকৃতির হয়ে থাকে। এই গাছটির সংস্কৃতি নাম হচ্ছে শ্রী হস্তিনী। আশা করি আপনারা এই গাছটিকে এখন থেকে খুব সহজেই চিনে নিতে পারবেন।

হাতিশুর গাছের উপকারিতা

আপনারা যারা হাতিশুর গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলের অংশটুকু খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে কারণ আমরা আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে আলোচনা করতে যাচ্ছি হাতিশুর গাছ থেকে আমরা সাধারণত যেসব উপকারিতা পেয়ে থাকি সেই উপকারিতা সম্পর্কে।

দেহে ছত্রাক জনিত সংক্রমণে, লাল চাকা চাকা দাগ নিরাময়ে হাতিশুর গাছের পাতার রস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে করে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সেই লাল চাকা চাকা দাগগুলো নিমেষেই কোথায় যেন হারিয়ে যায় অর্থাৎ এ পাতার রস ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার এই সমস্যাটি চিরতরে ভালো হয়ে যায় ‌।

আপনার দেহের কোন অংশ যদি ফুলে যায় তাহলে হাতিশুর গাছের পাতার রস সেই ফোলা অংশে লাগিয়ে রাখলে আপনার সেই ফোলা অংশটি আস্তে আস্তে কমে যাবে এবং আপনি অনেক আরাম পাবেন। জ্বর ও কাশিতে এই গাছের মূল কাণ্ড পানির সাথে ফুটিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করে খেয়ে নিলে আপনার কাশি ভালো হয়ে যাবে এবং জ্বর কমে যাবে।

যদি হঠাৎ করে আপনাকে কখনো বিষাক্ত পোকা মাকর আক্রমণ করে, অর্থাৎ কামড় দেয় । তখন অবশ্যই সেই ক্ষত স্থানটি অনেক জ্বালাপোড়া করবে। ঠিক তখনই আপনি যদি হাতিশুর গাছের পাতার রস সে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখেন তাহলে খুব কম সময়ের মধ্যে আপনার জ্বালা পোড়া কমে যাবে এবং সে ক্ষতস্থানটি যদি ফুলে থাকে তাহলে সে ফোলাটিও কমে যাবে।

আপনি যদি এক্সিডেন্ট করেন অথবা কোন কারণে আপনার শরীরে আঘাত লাগে তাহলে সে আঘাত জনিত স্থানে হাতিশুর গাছের পাতা রস লাগিয়ে রেখে দিলে আপনার সেই স্থানটিতে কোন জ্বালাপোড়া হবে না আপনি অনেক আরাম পাবেন এবং সেই স্থানটি ভালো হয়ে যাবে। সর্দি এবং কাশিতে হাতিশুর গাছের পাতার রস করে হালকা একটু গরম করে সেই রস এক থেকে দুই চামচ খেয়ে নিলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার সর্দি কাশি ভালো হয়ে যাবে।

আশা করি আপনারা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে জেনে নিতে পেরেছেন হাতিশুর গাছের উপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এরকম অনেক রকমের ঔষধি গাছের উপকারিতা সম্পর্কে নতুন নতুন একটি আর্টিকেল আপলোড করে থাকি আপনারা চাইলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং সেই ঔষধি গাছের গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নিন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*