আজকে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি তোকমা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এবং তথ্য যদি খালি পেটে খাওয়া হয় তাহলে কি কি উপকার আপনি বেশি পাবেন সেই সম্পর্কে। সাধারণত এই খাবারগুলো আমরা অনেকেই খেয়ে থাকি তবে সবার পক্ষে এই খাবারগুলো খাওয়া সম্ভব হয় না। অতিরিক্ত ব্যস্ততা এবং শরীরের প্রতি অনীহার কারণে এই ধরনের খাবারগুলো আমরা একেবারে চিনিনা বা খায় না।
তবে এই ধরনের খাবার গুলোর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না থাকায় অনেক উপকার রয়েছে এবং আপনারা যদি এই খাবারগুলো নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই অনেক উপকার পাবেন। অনেকেই মনে করে যে এই খাবারগুলো আশেপাশে পাওয়া যায় না। তবে যদি আপনার বাজারের বড় মোদির দোকানে খোঁজ করেন অবশ্যই এই জাতীয় খাবার গুলো আপনি পেয়ে যাবেন। চলুন আজকে জানার চেষ্টা করি খালি পেটে তোকমার অনেক গুণাগুণ সম্পর্কে।
তোকমার সাতটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ
সাধারণত আমরা যে খাবারগুলো নিয়মিত খেয়ে থাকি সে খাবারগুলোর প্রচুর পরিমাণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলা আমাদের পেটের ভেতরে অনেক বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করে। সেই অভিজ্ঞতাগুলো কমাতে অবশ্যই এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো আমরা নিয়মিত খেতে পারি। তার মধ্যে তোকমা অন্যতম। আপনারা যারা তোকমা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা একেবারেই সঠিক জায়গাতে চলে এসেছেন। আমরা জানানোর চেষ্টা করব নিয়মিত তোকমা খেলে একজন মানুষের পক্ষে কি কি উপকার হতে পারে সে সম্পর্কে।
ওজন কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে তোকমা ব্যবহার হয়ে আসছে আদি যুগ থেকে। তোকমা বীজ দেহের ওজন কমাতে অন্যতম একটি উপাদান এবং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে তোকমা বীজের কোন জুড়ি নেই। সবথেকে ভালো দিক হলো এই বীজ আপনি যেকোন ভাবে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং 5 থেকে 10 মিনিট পর সরাসরি পানি সহ সেটা খেয়ে ফেলুন। তোকমাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা 3 এবং ফ্যাটি অ্যাসিড যেটা আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে আপনাকে সাহায্য করবে।
দেহের তাপ কমায় এই গুরুত্বপূর্ণ বীজ। সাধারণত গরমকালে দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবে বেশি থাকে। সে তাপমাত্রা যদি আপনি কমাতে চান তাহলে সুস্বাদু চিনি অথবা দুধ, এছাড়াও মধুর সঙ্গে আপনি এই বেশ মিশিয়ে ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। নিয়মিত খেয়ে দেখুন অবশ্যই আপনি অনুভব করতে পারবেন আপনার শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি কমে গেছে।
যারা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে এই তোকমার বীজ। সাধারণত নিয়মিত আমরা যদি এই বীজ সেবন করি তাহলে অবশ্যই এটা আমাদের শরীরের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে আমাদের সাহায্য করবে। কোষ্ঠকাঠিন্যত দূর করতে প্রাচীন যুগ থেকেই তোকমার ব্যবহার হয়ে আসছে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যত দূর করতে এই বিজের গুরুত্বের কথা বলে শেষ করা যাবে না। যারা অনেকদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যতায় ভুগছেন তাদেরকে বলব নিয়মিত এই বীজ খেয়ে দেখুন অবশ্যই আপনি উপকার পাবেন।
যাদের পেটের ভেতর প্রচুর পরিমাণে গ্যাস্ট্রিক রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও এই বীজ খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। তার কারণ হলো শরীরের অ্যাসিডিটি দূর করতে তোকমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে। তোকমার বীজ পানিতে পরিপূর্ণ থাকে তাই এই জিনিস যদি আপনি নিয়মিত খান তাহলে ক্ষতিকর পদার্থ দূর করতে সহায়তা করবে।
যারা সুস্থ ত্বক ও চুল এর অধিকারী হতে চাচ্ছেন তারা নিয়মিত এই খাদ্য উপাদানটি খেতে পারেন। সরাসরি এই উপাদানটি গুঁড়ো করে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে অনেকে চুলে এবং ত্বকে লাগান এতে করে অনেকেই উপকার পান।
এছাড়াও ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই খাদ্য উপাদানটি আপনার কে সাহায্য করতে পারে। আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলবো তোকমার গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন এ জিনিসটি নিয়মিত খেতে যাতে করে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই এই জিনিসটি আপনার শরীরে অনেক উপকার এনে দিতে পারে।
Leave a Reply