টিউমার আমাদের শরীরে জন্ম নেওয়া অতিরিক্ত মাংস কোষ। এই কোষের আমাদের শরীরে কোন প্রয়োজনীয়তা নেই তার কারণ হলো এই কোষ আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক রোগ বহন করে। ক্ষতিকারক এই কোষগুলো আমাদের শরীরের ভেতরেই জন্মগ্রহণ করে এবং শরীরের ভেতরে পরজীবী হিসাবে বড় হতে থাকে। আস্তে আস্তে এই টিউমার যতটা বড় হতে থাকে সেটা আমাদের শরীরের জন্য ততটাই ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে।
ক্যান্সার রোগ সম্পর্কে আমরা সকলে জানি এবং মরণব্যাধি ক্যান্সারের ঔষধ এখন পর্যন্ত কেউ আবিষ্কার করতে পারেনি সেটাও আমরা জানি। এই ক্যান্সার রোগের জীবাণু সবথেকে বেশি বহন করে টিউমার, তাই যেকোনো ধরনের টিউমারকে আমরা কোনভাবে অবহেলা করতে পারি না। ছোটবেলায় এমন কিছু টিউমার ধরা পড়ে যেই টিউমারগুলো ছোটবেলাতেই অপসারণ করা উচিত যাতে সেটা বড় হয়ে আপনার ক্যান্সারের কারণ না হতে পারে।
কি কি খাবারে টিউমার ভালো হয়
সাধারণত টিউমার যদি আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে তাহলে সেটা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকে। আমাদের শরীরে বাসা বাধা টিউমারের অনেক ধরন রয়েছে তবে সেই প্রত্যেকটি ধরনই আমাদের জন্য ক্ষতিকারক এমন নয়। তবে আমাদের আশেপাশে এমন কিছু খাবার আছে যে খাবারগুলো খেলে অবশ্যই টিউমারগুলো এমনিতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে এই টিউমার গুলো যদি প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে তাহলে এই খাবারগুলো আমরা বেশি বেশি খেতে পারি যার মাধ্যমে টিউমারগুলোকে আমরা নষ্ট করে দিতে পারব।
তবে টিউমারগুলোর যদি বৃদ্ধি অনেক বড় হয়ে যায় তারপরে যদি আমরা সেটা সনাক্ত করতে পারি তাহলে কোনভাবেই এই খাবারগুলো কাজে আসবে না। তখন অবশ্যই সার্জারির মাধ্যমে টিউমার অপারেশন করতে হবে এবং খুব দ্রুত সেটা করতে হবে তার কারণ হলো টিউমার অতিরিক্ত বড় হয়ে গেলে সার্জারি করাটাও অনেক কষ্টের ব্যাপার হয়ে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবারে বা কি কি খেলে টিউমার গুলো নষ্ট করা যায়।
পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি খেলে টিউমার নষ্ট হয়
সাধারণত পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যে উপাদান গুলো নিয়মিত আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে আমাদের শরীরে থাকা টিউমার গুলো আস্তে আস্তে অকার্যকর হয়ে পড়বে। পাতাযুক্ত শাক গুলোর মধ্যে পালং শাক, লেটুস , কলারট, গেইন প্রভৃতি দেশি জাতীয় খাবার বা দেশী জাতীয় শাকসবজি নিয়মিত খেতে পারেন। এই শাক সবজিগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল ও এন্টিঅক্সিডেন্ট যেটা টিউমারের বিরুদ্ধে কাজ করবে। সকল ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এই ধরনের সবুজ শাকসবজি কাজে আসবে।
কোন কোন মাছ খেলে টিউমার ভালো হয়
মাছ বাঙ্গালীদের কাছে একটি পছন্দের খাবার এবং যার কারণে বাঙালিকে বলা হয় মাছের ভাতে বাঙালি। নদীমাতৃক দেশ হিসেবে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায় এবং সহজলভ্য এই মাছ আমরা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল এছাড়াও মাছে এমন কিছু কোলেস্টেরল বা ফ্যাট রয়েছে যে ফ্যাট গুলো আমাদের শরীরের জন্য ভালো। চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে অবশ্যই ছোট মাছ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
এর পাশাপাশি মাছে থাকা ওমেগা 3 এবং বিদ্যমান ফ্যাটি এসিড অন্টিটিউমার ও এন্টিক্যান্সার বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। যা টিউমার এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং টিউমার এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এছাড়াও কেমো থেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঠেকাতে ভূমিকা পালন করে এই মাছগুলো।
টিউমার ভালো করতে হলুদ
সাধারণত হলুদ এমন একটি উপাদান যেটা মসলা জাতীয় উপাদান হিসেবে আমাদের খাবারের সাথে পরিচিত। হলুদে রয়েছে কারকিউমিন যা মানব দেহের প্রদাহ জনিত সমস্যা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এছাড়াও এটি মানব শরিলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে তাই স্বাভাবিকভাবেই টিউমার ভালো করতে আপনি হলুদের বেশি ব্যবহার করতে পারেন।
Leave a Reply