
দৈনন্দিন জীবনে আমাদের চাহিদা পূরণ করার থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আমাদের কথা বলতে হয়। মূলত আমরা যে কথা ব্যবহার করার মাধ্যমে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজ সম্পন্ন করে এবং আমাদের আবেগ অনুভূতি প্রকাশ করে সেটাকেই ল্যাঙ্গুয়েজ বা ভাষা বলা হয়ে থাকে। ভাষা এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ল্যাঙ্গুয়েজ। পৃথিবীর প্রত্যেকটি জাতির আলাদা আলাদা ভাষা রয়েছে। একটা নির্দিষ্ট দেশের মানুষের ভাষা রীতি এবং অন্য দেশের মানুষের ভাষা দিতে থেকে আলাদা হয়ে থাকে।
এই পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ তাদের নিজস্ব মাতৃভাষায় কথা বলে থাকেন। তবে অনেকে আছে যারা মাতৃভাষা ছাড়াও অন্য ভাষার প্রতি আগ্রহ বোধ করে থাকেন এবং অন্য ভাষা শিক্ষা নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনে কাজে লাগানোর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য এই ধরনের ভাষা শিখে থাকেন। তাই আপনারা যারা ল্যাঙ্গুয়েজ কাকে বলে বা ভাষা কাকে বলে জানতে এসেছেন তারা আজকে এখান থেকে সঠিক সংজ্ঞা বা প্রামাণ্য সংজ্ঞা জেনে নিতে পারলে এটা যেমন পরীক্ষার খাতায় উপস্থাপন করতে পারবেন তেমনিভাবে খুব সুন্দর ভাবে যে কেউ প্রশ্ন করলে তার উত্তর দিতে পারবেন।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রে অর্থাৎ সকাল থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা ভাষা ব্যবহার করার মাধ্যমে যেমন নিজেদের কাজ সম্পন্ন করে তেমনি ভাবে অন্যকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য প্রদান করে থাকি। আর ভাষা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি বাক্য অর্থবোধক হতে হবে এবং অর্থবোধক বাক্য ছাড়া সেটা ভাষা বলে পরিগণিত হবে না। মনের ভাব পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করার মাধ্যমে ভাষা তৈরি হয়। কোন একটি কথা আপনি বলতে গিয়ে যদি রেখে দেন তাহলে সেটা যেমন বাক্য হবে না তেমনি ভাবে মনের ভাব প্রকাশ হবে না।
তাই সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা বলতে পারি যে একজন মানুষ যখন তার মনের ভাব প্রকাশ করতে যায় অথবা তার দৈনন্দিন জীবনের চাহিদাগুলো অন্যের কাছে প্রকাশ করতে গিয়ে যে সকল অর্থপূর্ণ ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টি ব্যবহার করে তাকেই ভাষা বলে। তাই আমরা তাকে তখনই ল্যাঙ্গুয়েজ বলব যখন সেটা দ্বারা মনের ভাব পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করা হবে। এই পৃথিবীতে অনেক ভাষা রয়েছে এবং সেই ভাষায় মানুষজন তাদের ভেতরের কনভারসেশন করে থাকেন।
Leave a Reply