
আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে। আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব খুবই পরিচিত একটি গাছ যার নাম লজ্জাবতী গাছ। আজকের আলোচনার মূল বিষয় হলো লজ্জাবতী গাছ থেকে আমরা যেসব উপকারিতা পেয়ে থাকি সে উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। আমাদের মধ্যে হয়তো এমন কেউ নেই যারা লজ্জাবতী গাছ দেখেননি অথবা চেনেন না। আমরা প্রায় সকলেই লজ্জাবতী গাছ চিনি। আমাদের বাসার আশেপাশে তাকালেই আমরা দেখতে পাই সেই লজ্জাবতী গাছ গুলো।
লজ্জাবতী গাছ খুবই সুন্দর একটি গাছ। বিশেষ করে লজ্জাবতী গাছ দেখলেই আমরা সবাই ছুঁতে চাই কারণ এ গাছ এ ছোঁয়া দেওয়ার সাথে সাথেই লজ্জা পেয়ে লতাগুলো যেন লুকিয়ে পড়ে। এটি খুবই আনন্দের একটি বিষয় এবং অদ্ভুত একটি বিষয় যে কারণে আমরা আশেপাশে লজ্জাবতী গাছ দেখতে পেলেই ছোঁয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে যায়। তবে এ গাছ যে শুধু সুন্দর তা নয় এ গাছের রয়েছে অনেক রকমের উপকারিতা। তবে আমরা অনেকেই এ বিষয়টি সম্পর্কে জানিনা যে লজ্জাবতী গাছ আমাদের আসলেই কি কি উপকারে আসে। ঠিক সেই জন্যই আমরা আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি লজ্জাবতী গাছের উপকারিতা সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য যা আপনাদের অনেক প্রয়োজনে আসবে।
চলুন তবে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক লজ্জাবতী গাছ সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো। আপনারা যারা লজ্জাবতী গাছ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী রয়েছেন তারা অবশ্যই আমাদের সম্পন্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে নিন আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো।
লজ্জাবতী গাছের পরিচিতি
মাই মসা বা লজ্জাবতী লতা অনেকটা লতা জাতীয় উদ্ভিদ। আমাদের দেশে অম্ল ভাবা পণ্য মাটিতে এক জাতের কাঁটা যুক্ত লজ্জাবতী অহরহ লক্ষ্য করা যায় এগুলো আকারে অনেকটাই ছোট থাকে। লজ্জাবতী অতি স্পর্শকাতর একটি উদ্ভিদ। কোনভাবেই ছোঁয়া দিলে ছড়ানো পাতাগুলো একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় কিছু ছোট ছোট পোকামাকড় এই পাতার মধ্যে আটকে থাকে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে।
ঔষধি গুনাগুন
আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা এই লজ্জাবতী গাছ দিয়ে আমরা কিছু রোগের চিকিৎসা করতে পারি অর্থাৎ এই গাছ একটি ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত। লজ্জাবতীর ঔষধি গুনাগুন অত্যন্ত বেশি হয়ে থাকে। নানা রকমের চিকিৎসায় এবং হারবাল ঔষধি কাজে এর ব্যবহার যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। নাক কান্দাত ও ক্ষুদ্র নালীর ঘা সারাতে লজ্জাবতীর শিকড় এবং লতাপাতার ব্যবহার দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে। এমনকি জন্ডিস, এজমা, টিউমার এবং লিভারের বিভিন্ন ধরনের রোগ সারাতে লজ্জাবতীর ঔষধি গুনাগুন অত্যন্ত বেশি।
লজ্জাবতীর বিভিন্ন ধরনের জাত
আমরা অনেকেই লজ্জাবতী গাছ চিনি এবং বাড়ির আশেপাশে দেখতে পায় তবে লজ্জাবতী বিভিন্ন ধরনের জাত রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আমরা হয়তো ভালোভাবে সঠিক তথ্যগুলো জানিনা আপনারা যারা এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী রয়েছেন তারা অবশ্যই আমাদের দেওয়া আর্টিকেলের এই অংশটুকু লক্ষ্য করুন।
পৃথিবীতে অনেক রকম জাতের লজ্জাবতী রয়েছে। তবে কাঁটা বিহীন লজ্জাবতী ডাঙ্গায় এবং অগভীর পানিতে চাষের প্রচলন বেশি দেখা যায়। বিশেষ প্রয়োজনে সাধারণত এ দুটি চাষের প্রতি চাষীদের আগ্রহ দিন দিন যেন আরো বেড়েই চলেছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার কোন কোন এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে তা অত্যাধিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় তা ক্ষতিকারক ঘাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
লজ্জাবতীর বংশবিস্তার
লজ্জাবতী প্রধানত দুই ভাবে বংশবিস্তার করে থাকে। বীজ থেকে অথবা পুষ্ট লতা কেটে তার রোপনের মাধ্যমে চাষাবাদ করা যায়। সাধারণত আগস্ট মাস থেকে এ লতাগুলোতে ফুল ধারা শুরু করে এবং সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত লজ্জাবতীর ফল পাকা শুরু হয়ে থাকে। এ সময় খুব সহজে পাকা ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। এ বীজ এর জীবনী শক্তি খুব বেশি হয়ে থাকে। সংরক্ষিত বীজে ৫০ বছর পর্যন্ত অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বজায় থাকে। লজ্জাবতীর বিষ খুব ছোট হয়ে থাকে।
আশা করি আপনারা আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পেরেছেন লজ্জাবতীর উপকারিতা সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।
Leave a Reply