
আপনারা কি বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ব্যাকরণ অংশের ভাব-সম্প্রসারণ নিয়ে তথ্য পেতে চান ? তারা এখনি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে দেখতে পারেন। এখানে বাংলা ব্যাকরণ এর বিভিন্ন ধরনের ভাব সম্প্রসারণ এর ওপর আলোচনা করা হয়ে থাকে।
আমরা আপনাদের প্রয়োজন অনুসারে ভাব সম্প্রসারণ গুলো সাজিয়ে রেখেছি। আপনারা যারা ভাব সম্প্রসারণ গুলো খুঁজতেছেন, তারা আর দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। তাহলে কাঙ্খিত ভাব-সম্প্রসারণ পেয়ে যাবেন।
এখানে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ভাব সম্প্রসারণ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আজ আমরা যে ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো: মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন”
ভাব সম্প্রসারণ:
মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন
মূলভাব: পরিশ্রম বা সাধনা দাঁড়ায় যে কোন কাজের ফল লাভ করা যায়। পরিশ্রম ছাড়া জগতে ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। কিন্তু এই কাজের সাফল্যের জন্য চাই প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও কর্মপ্রেরণা, নতুবা কাজ উদ্ধার করা অসম্ভব হয়ে যায়। যারা আপাত প্রতিকূলতাকে জয় করে আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে কর্মোদ্যোগ গ্রহণ করে; সাফল্য তাদের নিশ্চিত।
সম্প্রসারিত ভাব: কর্মে সাফল্যলাভ খুব সহজ বিষয় নয়; এর জন্য অসম্ভব নিষ্ঠা ও মানসিক শক্তি প্রয়োজন। আত্মাকে কর্মের প্রতি একনিষ্ঠ করতে পারলেই কেবল সাফল্য অমৃত রূপে ধরা দেয়। তবে আত্মাকে একনিষ্ঠ করা অত্যন্ত দুরূহ কঠিন কাজ। মানুষের চঞ্চল মন কে বশ করার ক্ষমতা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার হাতে থাকে না। সে কারণে আত্মার উদ্বোধনও তার কাছে জটিল হয়ে পড়ে।
সহজ কাজও তখন দুরূহ হয়ে তার কাছে ধরা দেয়। চারিদিকের প্রতিকূলতাও তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে। এমতাবস্থায় মানুষ যদি আত্মশুদ্ধির উপর আস্থা রাখতে না পারে, তবে কোনভাবেই সাফল্যের দেখা সে পাবে না।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। পরিশ্রম ছাড়া ভাগ্যের দুয়ারে কখনো খোলে না। যথার্থ পরিশ্রমই ভাগ্যলক্ষী কে ডেকে আনে। পরিশ্রম বিমুখ অলস ব্যাক্তির কাছে সবকিছুই আয়ত্তের বাইরে থাকে। পক্ষান্তরে কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। দুনিয়াতে যারা খ্যাতি, প্রতিপত্তি, সুনাম, সাফল্য লাভ করেছেন, তাদের জীবন ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তারা বিনা আয়াসে এসব অর্জন করেননি; বরং তাদের সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম, কঠিন সাধনা। একজন কৃষক যেমন মন্ত্র পড়ে ফসল ফলান না; মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কঠোর পরিশ্রম করে ফসল ফলান। তেমনি অলৌকিক কোনো জাদুমন্ত্রের বলে নয়, সনিষ্ঠ শ্রমের মাধ্যমে ভাগ্যকে জয় করতে হয়। মন্ত্র বলে নয়, শ্রমের মাধ্যমে আসে কাজের সাফল্য।
ইংরেজিতে প্রবাদে বলা হয়েছে, ‘Do or die’। সংস্কৃত সাহিত্যেরও নীতি গল্পগুলোতে কর্ম সম্পর্কে এ প্রবাদই উচ্চারিত হয়েছে। বাঙালির ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তাদের মধ্যেও লক্ষ্য জয়ের অদম্য ইচ্ছা ছিল। সে কারণেই যুগে যুগে তারা নানা বাধা বিপত্তি কে অগ্রাহ্য করে সামনের দিকে এগিয়ে গেছে। তবে শুধু মানুষের মধ্যেই নয়, প্রকৃতির নানা প্রাণির মধ্যেও আমরা কর্ম সম্পাদনের অদম্য ইচ্ছা প্রকাশ দেখতে পাই।
পিঁপড়েসহ ক্ষুদ্র জীব গুলো কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের দ্বারা নিজেদের ভবিষ্যত নির্মাণ করে থাকে। একই প্রবণতা মৌমাছির ক্ষেত্রেও দেখা যায়। নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে তারা কঠোর পরিশ্রম করে এবং সফলতা লাভ করে। আর সম্রাট নেপোলিয়ন এর কথা আমরা সবাই জানি– আত্মশক্তিকে কাজে লাগিয়েই তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন। নিজেকে স্মরণীয় করে রেখেছেন ইতিহাসের পাতায়।
মন্তব্য: মন্ত্র পড়া জাদুকরের সাজে কিন্তু মানব জীবনে মন্ত্রের খেলা মানায় না। এখানে প্রয়োজন পরিশ্রম ও সাধনা। সর্বকালের সর্বযুগের আত্মপ্রত্যয়ী প্রবল ইচ্ছা অধিকারী ও পরিশ্রমী মানুষ এই পৃথিবীতে জয়লাভ করেছে। সাহস ও প্রত্যয় নিয়ে সামনে এগিয়ে সকল কর্মে সফলতা অর্জন করতে হবে।
উপরের বিস্তারিত আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে, আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন আলাদা আলাদা বিষয়ের উপর তথ্য প্রদান করা হয়ে থাকে। এখানে কোন নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের উপর তথ্য প্রদান করা হয়ে থাকে না। শিক্ষার যেকোনো বিষয়ের ওপরই তথ্য প্রদান করা হয়ে থাকে আমাদের ওয়েবসাইটে। তাই আপনারা বেশি বেশি করে আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং সবার আগে তথ্যগুলো আপনাদের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেবো আমরা।

Leave a Reply