
ইসলাম ধর্ম মেয়েদেরকে অনেক বেশি মর্যাদা দান করেছে। মেয়েরা ইসলাম ধর্ম অনুসারে অনেক সম্মান এবং মর্যাদার অধিকারী। কারণ ইসলাম ধর্মই তাদের অনেক বেশি সম্মান করে। আমরা কুরআন এবং হাদিস আলোচনা করলে দেখতে পাই সেখানে নারীদের কখনোই অবহেলা করা হয়নি । বরং নারীদের অনেক মর্যাদা দান করা হয়েছে । এজন্য নারীরা অনেক সৌভাগ্যবান । আর তাই বর্তমান সময়ে যদি কোন পরিবারে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে , তবে সেই পরিবারটিতে সুখ বর্ষিত হয়। কন্যা শিশুকে নিয়ে আনন্দের সীমা থাকে না । মুসলিম পরিবারে কন্যা শিশুদের নাম রাখা নিয়েও সবাই আনন্দে মেতে থাকে । আর ইসলামিক নাম রাখার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে ।
তবে অনেক সময় দেখা যায় যে পিতা-মাতা চায় তার সন্তানের নামটি পিতা মাতার নামের অক্ষরের সাথে মিল রেখে রাখতে । তবে সে অক্ষর দিয়ে নামটি হতে হবে আবার ইসলামিক অথবা সাহাবীদের নাম অনুসারে হতে হবে। এজন্য তারা অনেক সময় অনেক জায়গায় নিজেদের নামের অক্ষরের সাথে মিল রেখে সাহাবীদের অথবা ইসলামিক নাম সন্তানদের নাম রাখার জন্য খুঁজে থাকে । আর আমরা এই ধরনের অনেক আর্টিকেল লিখি যেখানে বিভিন্ন অক্ষর দিয়ে ইসলামিক নাম উপস্থাপন করা হয়।
আমার সাহাবীদের নাম উপস্থাপন করা হয়। আর সেই সকল নামের অর্থ সুন্দরভাবে লিখা হয় । যেন যে কেউ চাইলে তার পছন্দমত সাহাবাদের নাম পেয়ে যায় অথবা পছন্দ মত অক্ষর দিয়ে ইসলামিক নাম পেয়ে যায় । আর নিজের বাচ্চাদের নামও এরকম ইসলামিক ভাবে রাখতে পারে । আপনারা যদি এরকম ভাবে ইসলাম অনুসারে নিজেদের বাচ্চাদের নাম রাখতে পারেন , তবে সেই বাচ্চা যেমন সম্মানিত হতে পারে , তেমনি ভাবে সে নাম রাখার উছিলায় আপনিও সম্মানিত হতে পারেন , মর্যাদা লাভ করতে পারেন । তেমনি ভাবে পরকালীন জীবনেও শান্তি লাভ করতে পারেন সেই ইসলামিক নামের উসিলায়।
তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত আলোচনা করা হয়েছে ফ অক্ষর দিয়ে বিভিন্ন ইসলামিক নাম অথবা সাহাবীদের নাম। সে সকল নামের অর্থ গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এই আর্টিকেলটিতে। এখান থেকে আপনি ফ অক্ষর দিয়ে আপনার পছন্দমত বিভিন্ন রকম সাহাবীদের নাম অর্থসহ পেয়ে যাবেন। বিশেষ করে মহিলা সাহাবীদের নাম আপনি পেয়ে যাবেন। তাই আপনারা যারা আপনার কন্যা শিশুর নাম ফ অক্ষর দিয়ে মহিলা সাহাবীর নাম অনুসারে রাখতে চান তারা আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন। এ আর্টিকেলটিতে ফ অক্ষর দিয়ে অনেকগুলো মহিলা সাহাবীদের নাম অর্থসহ উপস্থাপন করা হয়েছে। এখান থেকে আপনি অনেকগুলো নাম যেহেতু পেয়ে যাবেন সেহেতু আপনার পছন্দমত নামটি সংগ্রহ করে আপনার প্রিয় বাচ্চাটির নাম রাখতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে আপনি এখনই আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন। আর আপনার পছন্দমত একটি নাম সংগ্রহ করে নিন।
মহিলা সাহাবীরা ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। তারাও ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনা করত। তাছাড়া তারা পর্দার সাথে যাবতীয় কাজকর্ম করতো এবং যেকোন বিপদ-আপদে ইসলামকে কখনো ভুলতো না। তারা মনে প্রানে ইসলামকে স্বীকার করে নিয়েছিল এবং ইসলাম ধর্ম পালন করত। এজন্য ইসলাম ধর্মে মহিলা সাহাবীদের বিশেষ মর্যাদা দান করা হয়েছে। আর ইসলাম ধর্মের মেয়েদেরকেও সে মহিলা সাহাবীদের মতো ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনা করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আর ইসলাম অনুসারে বাচ্চাদের নাম রাখলে আল্লাহ পাক অনেক খুশি হন। তাছাড়া নবী-রাসূলও অনেক বেশি খুশি হন।
তাই ইসলাম অনুসারে বাচ্চার নাম রেখে বাচ্চার উপর রহমত বর্ষণের একটি ধারা যেমন তৈরি করা যায় তেমনিভাবে পিতা-মাতা হিসেবে অনেক সম্মান এবং বরকতের অধিকারী হওয়া যায়। আল্লাহর তরফ থেকে অনেক সম্মান লাভ করা যায়। তাই আপনার শিশুটির নাম অবশ্যই ইসলাম অনুসারে রাখা উচিত। এখানে ফ অক্ষর দিয়ে মেয়ে শিশুদের জন্য কিছু ইসলামিক নাম দেওয়া হলো:
১. ফারজানা অর্থ জ্ঞানী।
২. ফারজিয়াহ অর্থ উদারতা।
৩. ফারহা অর্থ সুখ।
৪ .ফাহমিদা অর্থ বুদ্ধিমান।
৫. ফারহাদ অর্থ আনন্দ।
৬. ফারহানা অর্থ প্রফুল্ল।
Leave a Reply