২০২৪ সালে স্কুল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী অনলাইনের মাধ্যমে এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন শুরু করে দিয়েছে। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা নভেম্বর মাসের ১৬ তারিখ সকাল ১১ টা থেকে ডিসেম্বর মাসের ৬ তারিখ বিকাল ৫ টা পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোষ্টের প্রথম দিকেই তারিখ জানিয়ে দেওয়া হলো যাতে করে আপনারা এটা দেখে নেওয়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীর আবেদন অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারেন। কারণ সময় খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে এবং লটারির মাধ্যমে এই ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার মত সুযোগ পরবর্তীতে হওয়ার হয়তো আসবে না। লটারি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আপনারা অপেক্ষা করবেন এবং নির্দিষ্ট দিনে লটারির ফলাফল প্রকাশিত হলে সেই ফলাফল থেকে জেনে নিতে পারবেন যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চয়েজ লিস্টে প্রদান করেছিলেন সেগুলোতে চান্স হয়েছে কিনা?
বিগত বছরে করোনাভাইরাস থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের ক্লাস ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করার কোন সুযোগ প্রদান করা হয়নি। ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ প্রদানের ভিত্তিতে একত্রিত করে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ানোর চাইতে লটারির মাধ্যমে দুই বছরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের এই ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছিল। সেই একই ধারাবাহিকতা অর্জন করে ২০২৪ সালেও আপনাদেরকে এই ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং ভর্তির ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আলাদা আলাদা যে ভর্তির বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো সম্পন্ন করতে হবে। ভর্তি সম্পন্ন হওয়ার পর ২০২৪ সালের নির্দিষ্ট শ্রেণীতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং পড়ালেখা করতে পারবে।
তাই আপনি যখন 2022 সালের এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি পেতে চাইবেন তখন আপনাকে বলব যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এই ভর্তির কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে পরিচালনা করছেন। আবেদনের জন্য বর্তমান সময়ে https://gsa.teletalk.com.bd/ এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এখানে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছে। আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীদের কে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করা লাগছে এবং অভিভাবকের তথ্যগুলো সুষ্ঠুভাবে প্রদান করে পরবর্তী ধাপে দেওয়া আছে।
ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্যের ভেতরে স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা প্রদান করার পরে আপনাদেরকে কোন শ্রেণীতে ভর্তি হতে চান সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। শ্রেণীতে ভর্তি হবার পাশাপাশি নির্দিষ্ট কোন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চান সেটা বিভাগ অনুযায়ী এবং জেলা অনুযায়ী নির্বাচন করলেই আপনাদের সামনে বিদ্যালয়ের তালিকা চলে আসবে।
বিদ্যালয়ের তালিকার ভেতরে অবশ্যই আপনাদেরকে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পছন্দের তালিকায় রাখার সুযোগ প্রদান করা হবে। তাছাড়া আপনি যখন শ্রেণী নির্বাচন করবেন তখন সেই শ্রেণীর উপরে ভিত্তি করে বিদ্যালয়ের তালিকা প্রদান করা হবে। কারণ কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তি করানো হয়ে থাকলেও বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৃতীয় শ্রেণী, ষষ্ঠ শ্রেণি এবং নবম শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ প্রদান করা হয়। তাই আপনি কোন শ্রেণীতে ভর্তি হতে চান এবং শিক্ষার্থীর বয়সের উপর নির্ভর করে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা থেকে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করবেন। যদি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই শিফটেই আবেদন করতে চান তাহলে আপনাদেরকে আর তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চয়েজ করার সুযোগ প্রদান করা হবে।
আবেদন সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা টেলিটক সিম প্রিপেইড এর মাধ্যমে আবেদন ফি জমা দিতে হবে। এভাবে আপনি যখন আবেদন সম্পন্ন করবেন তখন আপনার আবেদনের উপর ভিত্তিতে এবং সারা দেশের সকল শিক্ষার্থীদের আবেদনের উপর ভিত্তি করে একটি লটারি অনুষ্ঠিত হবে। দৈবচয়নের ভিত্তিতে আসন সংখ্যার উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের চয়েজ এর উপরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ প্রদান করা হবে।
অর্থাৎ আলাদা আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভেতর থেকে শিক্ষার্থীদের এই নাম উত্তোলন করতে হবে অথবা এই নাম উত্তোলন করার সফটওয়্যার এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবে। তারপরেও আপনারা নির্দিষ্ট দিনে ফলাফল পেয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি যদি দেখে নিতে পারেন তাহলে ভর্তি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিস্তারিত জানতে পারবেন।
Leave a Reply