আপনি কি নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে চান? যদি আপনার বয়স 18 এর ওপরে হয়ে থাকে এবং আপনার যদি ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করা না হয়ে থাকে তাহলে আপনারা নিচের দেওয়া প্রসেস থেকে নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করতে পারবেন। নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কিত আমরা যাবতীয় তথ্য দিয়ে দিয়েছি।
আপনারা এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে এবং সঠিকভাবে তথ্য পূরণ করলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নতুন ভোটার আইডি কার্ড হাতে পাবেন। তাই যারা এখনো ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করেননি বা ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার সময় কোন ভাবে মিস করেছেন, তারা এই পোষ্টের সহায়তা গ্রহণ করে যাবতীয় দিকনির্দেশনা অনুসরণ করুন।
একজন নাগরিক হতে হলে আপনার অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে। এই জাতীয় পরিচয় পত্র প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জীবনে কি পরিমান যে গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক কাজে লাগে তা আমরা দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন পদক্ষেপের বুঝতে পারি। তাই যারা 18 বছর পার হওয়ার পরেও ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করেননি তারা নিচের দেওয়া নিয়ম অনুসরণ করে ভোটার আইডি কার্ড যত দ্রুত সম্ভব তৈরি করে নিন। সচরাচর দেখা যায় যে প্রত্যেক বছরের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার জন্য নিবন্ধনকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়ম
আপনি যদি কোনভাবে এই তথ্য প্রদান করতে অক্ষম হন এবং কোন কারণে যদি ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করতে না পারেন তাহলে আপনি বাস্তবিক জীবনে অনেক ঝামেলায় পড়বেন। বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজগুলোর ক্ষেত্রে আপনাদের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রদান করা লাগে এবং বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সুতরাং ভোটার আইডি কার্ড একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই 18 বছর হওয়ার সাথে সাথে আপনারা নির্দিষ্ট নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে খোঁজখবর করবেন এবং আপনার বাড়িতে এসে অথবা আপনার এলাকায় যদি নতুন নিবন্ধন করে থাকে তাহলে আপনারা সেখানে সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করুন।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার বের করার নিয়ম
ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
যাদের 18 বছর হয়ে গিয়েছে তারা যদি ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার ক্ষেত্রে বাদ পড়েন অথবা মিস করেন তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করতে পারবেন। তার জন্য আপনাদেরকে services.nidw.gov.bd ওয়েব সাইটে যে কোন ব্রাউজার দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এখানে আপনারা যারা একেবারেই ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার জন্য তথ্য দেননি তারা তথ্য দিতে পারেন। কারণ ভোটার আইডি কার্ড তৈরি হয়েছে এমন কোন ব্যক্তি যদি তথ্য দেয় তাহলে সেটা আইনত অপরাধ।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন – অনলাইনে NID সংশোধনের নিয়ম
আপনারা নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে নতুন নিবন্ধন নামক একটি অপশন পাবেন। এই অপশনে প্রবেশকরে আপনাদের সকল তথ্য সঠিক ভাবে এবং নির্ভুল ভাবে প্রদান করতে হবে। নিজেদের নাম ইংরেজিতে প্রদান করে অন্যান্য সকল তথ্য বাংলায় প্রদান করতে হবে। তারপরে আপ্নারা এসকল তথ্য প্রদানের পরে আপনাদের একটি ফর্ম এর পিডিএফ ফাইল তৈরি করা হবে এবং এই পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিয়ে প্রিন্ট করে নিবেন। এই প্রিন্ট কৃত ফরমটি আপনার নিকটস্থ নির্বাচন অফিসে গিয়ে জমা দিবেন এবং সেখানে আরো কিছু তথ্যাদি এবং কাগজপত্র আপনাদের জমা দিতে হবে।
অন্যান্য কাগজপত্রের ভেতরে রয়েছে আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর ফটোকপি, আপনার বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, চেয়ারম্যান কর্তৃক চারিত্রিক সনদপত্র এবং প্রয়োজনে অন্যান্য কিছু লাগতে পারে। তাছাড়া আপনারা যখন এসকল কাগজপত্র এবং পিডিএফ ফাইলের প্রিন্ট জমা দিবেন তখন আপনাদের হয়তো শর্তসাপেক্ষে কিছু টাকা প্রদান করা লাগবে। যে সকল যাবতীয় নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে আপনারা একটি রশিদ সংগ্রহ করবেন। পরবর্তীতে আপনাদের যখন জাতীয় পরিচয় পত্রের অরিজিনাল কপিটি নিকটস্থ নির্বাচন অফিসে চলে আসবে তখন সেখান থেকে আপনারা রশিদ দেখিয়ে কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
Leave a Reply