যখন কোন ব্যক্তি একটি কাজ করার ফলাফল হিসেবে ইতিবাচক ফলাফল প্রদান করে এবং প্রথম দিকে তার কাজ খুব একটা ভালো না হলেও শেষে যখন আমরা তার থেকে ভালো ফলাফল পেয়ে যায় তখন তাকে বাহবা দিতে থাকে। কোন মানুষের কাজের শুরুতে তার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ না করে তার কাজের ফলাফল দেখতে হবে এবং কাজের ফলাফলের ক্ষেত্রে অবশ্যই যদি ইতিবাচকতা আসে তাহলে তো আর কথাই নেই। কথায় আছে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। আপনি যদি কাজের ফলাফল হিসেবে শেষে সব সময় ইতিবাচক এবং দুর্দান্ত ফলাফল করেন তাহলে সকলের দাঁড়ায় সমাদৃত হবেন।
কোন একজন ছাত্র প্রত্যেক বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পড়ালেখায় খারাপ ফলাফল করে এবং তার জন্য সকলে তাকে তিরস্কার করতে থাকে। কিন্তু বোর্ড পরীক্ষায় সে যদি দুর্দান্ত ভালো ফলাফল করে তাহলে তাকে আবার মানুষ বাহবা দিতে থাকে। তাই একতরফা বিচার না করে তাকে যদি সময় প্রদান করা হয় এবং সুযোগ প্রদান করা হয় তাহলে তার ভেতরের ইচ্ছা শক্তি দ্বারা সে সবসময় ভালো ফলাফল করতে পারবে। কোন মানুষকে এ বিষয়ে দ্বিধান্বিত না করে তাকায় মনে যদি সাহস যোগাতে পারে তাহলে সেই ব্যক্তি সাহসের সঙ্গে সেই কাজ করতে পারে।
এমনও অনেক ব্যক্তি আছে যারা জীবনের কোন ক্ষেত্রেই সফল হতে পারছে না বলে আমরা তাকে দোষারোপ করছি। কিন্তু একটা সময়ে সেই কোন একটি নতুন কাজে লেগে গিয়ে যখন সফলতা ছিনিয়ে আনতে তখন আমরা তাকে বাহবা দিতে কার্পণ্য করছি না। কারণ একজন মানুষের ভেতরে কোন কাজের দক্ষতা লুকিয়ে আছে এবং কোন ধরনের ইচ্ছা শক্তির মাধ্যমে সেই ব্যক্তি সেই কাজ করছে সেটি আমরা জানি না। তাই কারো উপরের দিকটা দেখে বিচার না করে তার ভেতরের সুপ্ত প্রতিভার মূল্যায়ন করতে হবে এবং তাকে যদি আমরা অনুপ্রেরণা দেই তাহলে সেই ব্যক্তি অবশ্যই সফল হবে।
= All’s well that ends well.
এ পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা মানুষকে সবসময় কাজের প্রতি অনুপ্রেরণা প্রদান করার পরিবর্তে নেতিবাচকতা প্রকাশ করে এবং সেই ব্যক্তি দ্বারা সেই কাজ সম্ভব হবে না বলে ধারনা পোষন করে থাকে। আপনার ক্ষেত্রে যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে আপনি তাদেরকে এড়িয়ে চলবেন এবং নিজের কাজের সঙ্গে লেগে থাকলে এবং নিজের দক্ষতার পরিচয় দিলে আপনি এক সময় সফল হয়ে সকলের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করতে পারবেন। তাই যেকোনো কাজের শেষ এর ফলাফল যেন ভালো হয় তার জন্য আমাদেরকে যথাসাধ্য পরিশ্রম করতে হবে।
Leave a Reply