
আপনারা যারা ভগ্নাংশ কাকে বলে এটি জানেন না তারা এখান থেকে ভগ্নাংশ কাকে বলে তা জেনে নিন এবং সেইসাথে ভগ্নাংশের প্রকারভেদ এবং প্রকৃত ভগ্নাংশ কাকে বলে সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন। খুব সহজভাবে যদি আমরা এটি বুঝতে চাই তাহলে বলব যে ভগ্নাংশ মানে কোন কিছুর ভাঙ্গা অংশ। অর্থাৎ যেটা আমরা পরিপূর্ণ আকারে পাবোনা তখন সেটা ভগ্নাংশ হয়ে যাবে। যেমন দুই একটি পূর্ণ সংখ্যা এবং এক্ষেত্রে দুই কে ভাঙলে অন্য কিছু পাওয়া যায় না বলে ২ পূর্ণ সংখ্যা হয়ে থাকবে এবং যখন আমরা কোন জিনিসকে অর্ধেক করব অথবা এর চাইতে অধিক ভাগে ভাগ করব তখন সেটা ভগ্নাংশ হয়ে যাবে।
আপনার কাছে যখন একটা বড় আকৃতির জিনিস থাকবে এবং সেটা যখন আপনি সকলের মাঝে ভাগ করে দিবেন তখন দেখা যাবে যে সেই জিনিসটা ভেঙে ভেঙে দিতে হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে সহজ ভাষায় বলতে গেলে এটাই ভগ্নাংশ। তাই আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা যারা ভগ্নাংশ কাকে বলে তা জানতে এসেছেন তাদেরকে বলব যে দুইটি পূর্ণ সংখ্যাকে অনুপাত বা ভাগ করলে যে রাশি পাওয়া যায় তাকেই ভগ্নাংশ বলা হয়।
তবে এই পোষ্টের সবচেয়ে জানার বিষয় হলো যে ভগ্নাংশের ভেতরে যে প্রকারভেদ রয়েছে তা কত প্রকার এবং ভগ্নাংশের মধ্যে প্রকৃত ভগ্নাংশ কাকে বলে। সাধারণত আমরা ভগ্নাংশ সেটাকেই বলবো যেটাকে একটি জিনিসের মাধ্যমে অনেক টুকরো করা হয়েছে বা ভাঙ্গা হয়েছে। ভগ্নাংশের দুইটি অংশ থাকে এবং ওপরের অংশকে লব বলা হয় এবং নিচের অংশকে হর বলা হয়। সাধারণত নিচের অংশটা পরিপূর্ণ অংশ এবং উপরের অংশটা অর্থাৎ লব হবে।
তাহলে নিচের অংশটা পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে উপরের অংশে যেহেতু আপনারা সেই জিনিসটি ভেঙে অথবা ভাগ করে দিয়েছেন সেহেতু তার পরিমাণ কম হবে। এক্ষেত্রে যদি একটা জিনিসকে পাঁচটা ভাগ করা হয় তাহলে নিচের হরের জায়গাতে ৫ লিখতে হবে এবং কাউকে যদি আপনি কোন এক অংশ প্রদান করেন তাহলে এক অংশ অথবা ২ অংশ প্রদান করলে দুই লিখতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনারা যারা প্রকৃত ভগ্নাংশ কাকে বলে তা জানতে এসেছেন তাদেরকে বলব যে, যে ভগ্নাংশের হর বড় এবং লব ছোট তাকে প্রকৃত ভগ্নাংশ বলা হয়। আর যেগুলো অপ্রকৃত ভগ্নাংশ সেগুলোর লব বড় হবে এবং হর ছোট হবে। আর মিশ্র ভগ্নাংশের ক্ষেত্রে আমরা এক পূর্ণ দুই এর তিন অথবা কোন সংখ্যার সঙ্গে যখন ভগ্নাংশ যুক্ত হয় তখন সেটাকে মিশ্র ভগ্নাংশ হিসেবে চিনে থাকে। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা ভগ্নাংশ এবং প্রকৃত ভগ্নাংশ সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করতে পেরেছেন।
Leave a Reply