আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমাদের আর্টিকেলটির বিষয় হচ্ছে শ্রেষ্ঠ সাহাবীদের নাম আলোচনা করা। পৃথিবীতে যে সকল নবী রাসূল ছিল তাদের জীবন দশায় তাদের সাথে যে সকল ব্যক্তিরা ছিল বা তাদের কথা মেনে চলতো এবং ইসলামের জন্য অগাধ ভালোবাসা ছিল, তাছাড়া ইসলাম ধর্ম মনে প্রানে স্বীকার করত আর মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মুসলমান হিসেবে মৃত্যুবরণ করেছিল, তারাই মূলত সাহাবী। তবে নবী রাসুলদের আমলে কিছু সাহাবী ছিল যারা শ্রেষ্ঠ সাহাবী। আর সে সকল শ্রেষ্ঠ সাহাবীদেরই নাম আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে বর্ণনা করা হয়েছে। বেশিরভাগ মুসলমান জাতি বিশ্বাস করে যে তাদের সন্তানদের নাম ইসলামিক রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সন্তানদের ইসলামিক নাম রাখার জন্য নানা ধরনের ইসলামিক নাম অনলাইনে খুঁজে থাকে।
অনেক সময় দেখা যায় তাদের বাচ্চাদের নাম রাখার জন্য পিতা-মাতারা শ্রেষ্ঠ সাহাবীদের নাম খুঁজেন। আর সেই সকল নামের অর্থ খুঁজেন। নামের অর্থ জানার পরে যদি ভালো লাগে তাহলে নিজের প্রিয় সন্তানদের নামও সেই সাহাবীর নাম অনুসারে রাখেন। তাই আপনারা যারা আপনাদের সন্তান বা কোন আত্মীয় বা প্রতিবেশীর নাম শ্রেষ্ঠ সাহাবীদের নাম অনুসারে রাখতে চান, তাই সাহাবীদের নাম খুঁজছেন, আজকের আর্টিকেলটি তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন। এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমতো শ্রেষ্ঠ সাহাবীদের নাম পেয়ে যাবেন। আর আপনার পছন্দমতো নামটি বেছে নিয়ে আপনার প্রিয় সন্তান অথবা আত্মীয় বা প্রতিবেশীর নামটি এই নাম অনুসারে রাখতে পারবেন।
নবী রাসুলের পরে সাহাবীরা অনেক সম্মানিত ব্যাক্তি। সাহাবীরা ইসলামের জন্য নিজের জীবন দিতে সবসময় প্রস্তুত থাকতেন এবং নবী রাসুলদের সবসময় সহযোগী হিসেবে সাহাবীরাও থাকতো। নবীর সকল কথা সাহাবীরা মেনে চলতো এবং তাদের দেখানো ইসলাম অনুযায়ী জীবন যাপন করত। তাছাড়া ইসলামের প্রসার ও প্রচারের জন্য নবীদের পাশাপাশি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন। ইসলাম ধর্ম প্রচারের দিকে লক্ষ্য দিয়েছিলেন। আর নিজের সাধ্য অনুযায়ী ইসলাম ধর্ম প্রচার করতেন তারা। যেমন ইসলাম ধর্ম পালনে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন সেরকমভাবে ইসলাম ধর্মের সম্মান রক্ষার্থেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। তারা ইসলাম ধর্মের সম্মান রক্ষা করার জন্য নিজের জীবন দিতেও পিছপা হতেন না।
প্রত্যেকটা মুসলিমের উচিত সাহাবীদের জীবনে পড়া। কেননা সাহাবীদের জীবনী থেকে অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়ার আছে। সাহাবীদের জীবনী পড়লে তাদের সম্পর্কে নানা রকম তথ্য পাওয়া যায়। বিশেষ করে যে সকল সাহাবীগুলো নবী রাসুলের সময় শ্রেষ্ঠ সাহাবী হিসেবে পরিগণিত ছিল তাদের জীবনগুলো পড়া সবার উচিত। তাদের জীবনী পড়লে তাদের জীবন যাপন পদ্ধতি কেমন ছিল, তারা ইসলামের প্রতি কেমন বিশ্বাসী ছিলেন, কিভাবে তাদের জীবনে ইসলাম পালন করতেন, ইসলামের জন্য কিভাবে নিজের জীবন দিতে প্রস্তুত থাকতেন বিষয়গুলো খুবই সুন্দর ভাবে তাদের জীবনীতে উপস্থাপন করা আছে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা যাবে এবং সেই ভাবে জীবন যাপন করতে পারলে আল্লাহ এবং রাসূলের প্রিয় বান্দা হিসেবে পরিগণিত হওয়া যাবে। তাই সবার উচিত শ্রেষ্ঠ সাহাবীদের জীবনী গুলো পড়া এবং তাদের জীবন যাপন পদ্ধতি থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের জীবন যাপন পদ্ধতি ঐরকম ভাবে তৈরি করা।
শ্রেষ্ঠ সাহাবীরা আমাদের নানা রকমের শিক্ষা দিয়ে গেছেন। শ্রেষ্ঠ সাহাবীদের জীবন যাপন ছিল খুবই সাধারণ। কিন্তু সাধারণ হয়েও তারা ইসলামের প্রতি ছিলেন খুবই অসাধারণ। তাদের অসাধারণ ভূমিকায় আজকের ইসলামকে অনেক মর্যাদা দান করেছে। আর ইসলাম ধর্মে তাই সাহাবীদের অনেক বেশি মর্যাদা দান করেছে। যারা যুগেযুগে ইসলাম ধর্মকে ভালোবেসেছে, ইসলামকে গ্রহণ করেছে তারা সবসময় সম্মানিত হয়েছে। মুসলিম জাতি হিসেবে আমাদেরও উচিত সাহাবীদের জীবন যাপন অনুসরণ করা এবং নবী রাসুলের দেখানো পথ অনুসারে ইসলাম ধর্ম পালন করা। নিচে কিছু শ্রেষ্ঠ সাহাবীদের নাম দেয়া হলোঃ
১. হযরত আবু বকর (রাঃ)
২.হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)
৩.হযরত উসমান (রাঃ)
৪. হযরত আলী মোর্তজা (রাঃ)
৫.হযরত হামজা (রাঃ)
Leave a Reply