
প্রিয় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে ভাজ্য কাকে বলে এবং ভাজ্য নির্ণয়ের সূত্র সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হবে। ভাগের সমাধান করার ক্ষেত্রে ভাজ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এটি যদি নিঃশেষে বিভাজ্য না হয়ে থাকে তাহলে যেকোনো ধরনের ভাগ আমরা খুব সহজেই নামতা পাঠ করার মাধ্যমে করতে পারি। তাই ভাজ্য কি তা যদি আপনি জেনে নিতে চান তাহলে অবশ্যই আজকের এই পোস্ট অনুসরণ করবেন এবং এখান থেকে আপনারা ভাজ্য কাকে বলে যে জেনে নিবেন।
ভাজ্য কাকে বলে অথবা ভাজ্য কি এ সম্পর্কে যারা জানতে এসেছেন তাদেরকে বলব যে, ভাগ অংকে আমরা যে সংখ্যাটিকে ভাগ করে থাকি অথবা কোন সংখ্যা দিয়ে যখন একটি নির্দিষ্ট সংখ্যাকে ভাগ করা হয় তখন সেটাকেই ভাজ্য বলে। অর্থাৎ ভাগ অংকের ভেতরে যে সংখ্যাটি সবচাইতে বড় সেটাকেই ভাজ্য বলা হয়ে থাকে।
যদি ব্র্যাকেট চিহ্নের মাধ্যমে ভাগ করা হয় তাহলে দেখা যায় যে মধ্যখানের সংখ্যাটি হল ভাজ্য এবং যদি ভাগ চিহ্নের মাধ্যমে করা হয় তাহলে প্রথমে যে বড় সংখ্যাটি রয়েছে সেটাই হল ভাজ্য। তবে কেউ যদি ভাজ্য নির্ণয় করতে চাই অথবা কোন অংকে যদি ভাজক এবং ভাগফল দিয়ে আপনাকে ভাজ্য নির্ণয় করতে বলে তাহলে নিচের নিয়ম অনুসরণ করে আপনারা এটি করতে পারেন।
যদি ৩০ সংখ্যাটিকে আমরা পাঁচ দিয়ে ভাগ করি তাহলে দেখা যায় যে সেখানে উত্তর বা ভাগফল বের হয় ৬। এখানে ৩০ সংখ্যাটিকে ভাগ করা হচ্ছে বলে এটা ভাজ্য। তাই কোন অংকে যখন ভাগফল এবং ভাজক দিয়ে দেওয়া থাকবে তখন সেটা যদি আমরা নিয়ে ভাজ্য বের করতে চাই তাহলে আমাদেরকে সরাসরি ভাজক এবং ভাগফল গুণ দিলেই হবে। এক্ষেত্রে যদি কোন ক্ষেত্রে নিঃশ্বাসে বিভাজ্য হয় অথবা ভাগশেষ থাকে তাহলে সেটাকে গুণফলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে।
তবে নিঃশেষে বিভাজ্যের ক্ষেত্রে আমরা যদি ভাজ্য নির্ণয়ের সূত্র জানতে চাই তাহলে সেটার সূত্র হবে যে, ভাজক×ভাগফল। যদি নিঃশ্বাসের বিভাজ্য না থাকে তাহলে ভাজ্য নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সূত্র হবে, ভাজক×ভাগফল+ভাগশেষ। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গিয়েছেন এবং এ ধরনের গণিত সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের সূত্র জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্ট দেখতে পারেন।
Leave a Reply