সাধারণত ছোটবেলা থেকে “ভিটামিন-এ ”এর সঠিক উপস্থিতি শরীরের সঠিক বৃদ্ধিতে আপনাকে সাহায্য করে তাই আমরা দেখেছি যে সরকারিভাবে “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল সকল শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয় যাতে কোন শিশুই বৃদ্ধিজনিত কারণে পিছিয়ে না থাকে। “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল আমাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান আজকে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি এই “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুলের উপকার এবং এই “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল কিভাবে খেতে হবে সেই নিয়ম সম্পর্কে।
অবশ্যই সরকারিভাবে “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সকলকে জানানো হয় প্রতিবছর তারপরেও আমরা আজকে জানানোর চেষ্টা করব “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল সম্পর্কে এবং এই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে চলুন জানা যাক “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল খাবার নিয়ম কি কি।
“ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল কতবার খাওয়ানো হয়
সাধারণত আমরা ২০২২ সালে নভেম্বর মাসের ২ তারিখের একটি প্রতিবেদন থেকে জানতে পেরেছি যে চিঠি শিশুদের “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল খাওয়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি এখানে উল্লেখ করেছেন যে ছয় মাসের বেশি ও পাঁচ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় যে চার থেকে 17 অক্টোবর পর্যন্ত কক্ষকাল ব্যাপী “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্যাম্পেইন চলবে। হ্যাঁ অবশ্যই এখান থেকে আমরা জানতে পারলাম যে কোন বয়সের ছেলেদের “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল খাওয়া বাধ্যতামূলক। তাই কোনভাবে “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল থেকে নিজের শিশুকে দূরে রাখা যাবে না।
“ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল খাওয়ানোর বয়স
সাধারণত “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল আপনি যেকোনো বয়সে খেতে পারেন তার কারণ হলো “ভিটামিন-এ ”এমন একটি উপাদান যেটা শরীরের বৃদ্ধিতে এবং আপনার চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে যেহেতু এই শরীরগুলোর গঠন ছোটবেলাতে হয়ে যায় তাই ছোটবেলাতে যাতে শিশুরা “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল থেকে বঞ্চিত না হয় তাই সারা দেশব্যাপী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় শিশুদের “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল খাওয়ানোর।
এই ক্যাম্পেইনে ছাড়া দেশে ১২ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী ও ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের একটি করে লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় এর পাশাপাশি যারা 6 থেকে 11 মাস বয়সী শিশুর আছে তাদের একটি করে নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এইভাবে প্রতিবছর শিশুদের একটানা ৫ বছর পর্যন্ত “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল খাওয়া উচিত।
“ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল খাওয়ানোর উপকারিতা
আমরা রাতকানা রোগ সম্পর্কে জানি এবং এ রাতকানা রোগ এর ফলে অন্ধত্বও জন্ম নিতে পারে সেটাও আমরা জানি। তাই আপনার শিশু যাতে রাতকানা রোগ বা অন্ধত্ব রোগে কোন ধরনের কষ্ট না করে সেই দিক নিশ্চিত করতে আপনাকে সঠিক সময় শিশুদের “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
শিশুদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তাই সরকারের ঘোষণা সোনার সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তুত হন শিশুকে “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যেতে। অন্তত যে চারটি প্রধান কারণ রয়েছে তার মধ্যে “ভিটামিন-এ ”এর অভাবজনিত কর্নিয়ার রোগ ও করনিয়ার ক্ষত অন্যতম এবং এই ভিটামিন টির অভাবে মানুষের শিশুর রাতকানা রোগ ও চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে যেতে পারে তাই অবশ্যই সতর্ক থাকুন।
এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে “ভিটামিন-এ ”অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাই আমরা চেষ্টা করব “ভিটামিন-এ ”ক্যাপসুল শিশুদের খাওয়াতে এবং “ভিটামিন-এ ”যুক্ত খাবার গুলো নিয়মিত শিশুদের খাবার তালিকা রাখতে। এছাড়াও “ভিটামিন-এ ”এমন কিছু জীবাণুকে সরাসরি ধ্বংস করে এবং দেহকে রক্ষা করতে সাহায্য করে যেটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এর পাশাপাশি ও ঝিল্লির স্বাস্থ্য রক্ষার “ভিটামিন-এ ”এর কাজ করে।
Leave a Reply