ডিপ্রেশন মানে কি

ডিপ্রেশন মানে কি

বর্তমান সমাজ ডিপ্রেশন শব্দটির সঙ্গে খুব বেশি পরিচিত। কারণ আমাদের যুব সমাজের দিকে যদি তাকিয়ে দেখি তাহলে যাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছর তাদের ভেতরে ডিপ্রেশনের বিষয়টা সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। আর ডিপ্রেশনের ক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি পরিমাণে রয়েছেন শিক্ষিত যুবকেরা। তাই ডিপ্রেশন মানে কি সে বিষয়টা আপনাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এখান থেকে মুক্তির উপায়

সম্পর্কে সঠিকভাবে আলোচনা করব যা আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক উপকারে আসবে। কারণ ডিপ্রেশন হলো এমন একটা ভয়াল ব্যাধি যেটার মাধ্যমে আপনি নিজে দিনে দিনে শেষ হয়ে যাবেন এবং এখান থেকে হয়তো মুক্তির উপায় না পেয়ে অনেক সময় অঘটন ঘটিয়ে ফেলবেন। তাই আমাদের সকলের উচিত ডিপ্রেশন এর ভেতরে না গিয়ে সঠিকভাবে নিজের জীবন ব্যবস্থাকে পরিচালনা করা এবং সঠিকভাবে প্রত্যেকটি সমাধানের পথ খোঁজা।

বর্তমান সময়ের যুবসমাজ শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অধিক শিক্ষিত হয়ে ভালো চাকরিতে যোগদান করবে বলে মানসিকভাবে সেভাবে নিজেদেরকে প্রস্তুত করে। কিন্তু পড়ালেখা শেষ করে যখন তারা কাঙ্খিত চাকরি পায় না অথবা একটু নিচু শ্রেণির চাকরি পেতেও তাদের যখন অনেক পরিমাণ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তখন তাদেরকে ডিপ্রেশন ঘেরে ধরে। ডিপ্রেশন হলো এক ধরনের হতাশা বা

বিষন্নতা যেটার মাধ্যমে একটা মানুষ নিজের ভেতরে চিন্তার বীজ বপন করে এবং সফলতার দুয়ারে না পৌঁছাতে পারার কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় থাকে। তাই ডিপ্রেশন শব্দের অর্থ হলো হতাশা অথবা বিষন্নতা। আপনি যদি আপনার প্রত্যেক দিনের কাজ না করেন তাহলে সেখান থেকে আপনার মন খারাপের সৃষ্টি হবে এবং দিনশেষে যখন আপনি কাজের আউটপুট একেবারেই পাবেন না তখন আপনার কাছে হতাশা আরও বেশি ঘিরে ধরবে।

বর্তমান সময়ের যুব সমাজেরা উচ্চতার শিক্ষায় গ্রহণ করার জন্য চার থেকে ছয় বছর নষ্ট করছে বলে পরবর্তীতে তাদের চাকরি পেতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে যদি চাকরির জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত না করতে পারে অথবা আয়ের উৎস তৈরি করতে না পারে তাহলে পড়ালেখা শেষ করে তারা হয়তো এ ধরনের সমস্যা গুলো সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ফেস করে থাকবে। কারণ আমাদের দেশের অধিকাংশ পরিবার নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার। পিতা মাতা হয়তো আপনাদের এত দিনের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে থাকলেও একটা সময় পিতা-মাতার ভরণ পোষণের দায়িত্ব আমাদেরকে গ্রহণ করতে হয়।

এক্ষেত্রে আপনার সমবয়সী বন্ধু যখন ভালো কিছু একটা করছে অথবা সে যখন তার পরিবারকে সাপোর্ট প্রদান করছে তখন আপনি বেকার হয়ে যখন নিজেকে সান্তনা দিয়ে কিছুই পাচ্ছেন না তখন আপনার ভেতরে এই ডিপ্রেশন বিষয়টা চলে আসবে। তাই হতাশায় নিমজ্জিত না হয়ে আপনি যে ধর্মের অনুসারী সেই ধর্ম অনুযায়ী সঠিকভাবে প্রত্যেকটি ধর্মীয় কাজ পালন করতে হবে যাতে মন এবং মানসিকতা শান্তভাবে বিরাজ করে।

তারপরে দৈনন্দিন জীবনে আপনাকে প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। পড়ালেখার প্রতি বিমুখতা যদি থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটা ছেড়ে দিয়ে আয়ের উৎস খুঁজে বের করতে হবে এবং সেখানে পরিশ্রম করার মাধ্যমে আয় করতে হবে। আর আপনি যদি কাজের ক্ষেত্রে শক্তি ও ভূমিকা পালন করতে না পারেন তাহলে একটা সময় আপনাকে এই ডিপ্রেশনের ভেতর দিয়ে যেতে হবে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*