
সারা বিশ্বে বর্তমান সময়ে কম্পিউটারের ব্যবহার এত পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে যে কম্পিউটার ছাড়া আমরা কোন কিছু চিন্তা করতে পারি না এবং যেকোন তথ্য সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই কম্পিউটারের যে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট রয়েছে সেখানে আপনার যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য সেখানে তথ্য ইনপুট করতে হবে এবং তথ্য ইনপুট করার ক্ষেত্রে আমরা কিবোর্ডের সহায়তা গ্রহণ করে থাকি।
তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের প্রশ্ন অনুযায়ী কিবোর্ডের কাজ কি সে প্রসঙ্গে ধারণা প্রদান করব এবং কিবোর্ড কি কি ধরনের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং এটার বিস্তারিত ধারণা আপনাদেরকে প্রদান করব। তাই কি বোর্ডের কাজ কি এবং কিবোর্ড কত প্রকার ও কি কি এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা জানতে এই পোস্ট পুরোপুরি পড়ুন।
সাধারণত আমরা যখন কম্পিউটারের কথা বলি তখন আমাদের সামনে টিভির মতো একটা স্ক্রিন চলে আসে এবং সেই সাথে নিচের দিকে টাইপ করার মত অনেকগুলো বাটন চলে আসে। তাই কোন কিছু টাইপ করার জন্য অথবা তথ্য নির্দেশ দেওয়ার জন্য আমরা যখন সেখানে চাপ দেই এবং কোন কিছু কম্পিউটার স্ক্রিনের ডিসপ্লেতে দেখতে পাই তখন সেই চাপ দেওয়ার বস্তুকে আমরা কিবোর্ড হিসেবে বিবেচিত করে থাকি।
এই কিবোর্ড এর কাজ হল কোন তথ্য লেখার ক্ষেত্রে সেখানে যে সকল বাটন রয়েছে সে সকল বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে তথ্য ইনপুট করা এবং কম্পিউটারকে নির্দেশনা প্রদান করা।তাই কিবোর্ড এর কাজ প্রসঙ্গে আপনারা যদি জানতে চান তাহলে বলব যে এটা কম্পিউটারের একটা প্রধান ইনপুট ডিভাইস এবং এটার মাধ্যমে আপনি কম্পিউটারে কোন তথ্য ইনপুট করলে সেটা কম্পিউটার পরবর্তীতে আউটপুট হিসেবে প্রদর্শন করবে।
একটি কিবোর্ডে অনেকগুলো কী থেকে থাকে এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের চিহ্ন ব্যবহার করার জন্য অপশন থেকে থাকে। যখন থেকে মাউথ অথবা টাচস্ক্রিন ব্যবহার করার সিস্টেম চালু হয়েছে তখন থেকেও এটা যেমন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে তেমনিভাবে আগেও ওই বোর্ডের গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি ছিল। তাই কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস হলো কিবোর্ড এবং কিবোর্ড এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের কমান্ডো দিলে অথবা বিভিন্ন ধরনের টেক্সট লিখলে সেগুলা কম্পিউটারে লিপিবদ্ধ হয়ে যায়।
এখন আপনি যদি কিবোর্ডের আরো কাজ সম্পর্কিত ধারনা জানতে চান তাহলে সেখানে আপনারা ফাংশন কি পেয়ে যাবেন। তাছাড়া টাইপ করার জন্য আপনারা সেখানে বাংলা ও ইংরেজিতে বিভিন্ন ধরনের কি পেয়ে যাবেন যেখানে প্রত্যেকটি বর্ণ উল্লেখ করা আছে এবং আপনারা সেটা ফ্রন্ট চেঞ্জ করার মাধ্যমে অথবা ভাষা চেঞ্জ করার জন্য নির্দিষ্ট ইনপুট ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন।
তাছাড়াও কম্পিউটারের এই কিবোর্ডে রয়েছে কন্ট্রোল কি এবং কন্ট্রোল কি এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা প্রদান করার পাশাপাশি নিউমেরিক যদি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা সেখানে তুলতে পারবেন। যেহেতু বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের বহুমুখী ব্যবহার চালু হয়েছে সেহেতু কম্পিউটারের কিবোর্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এই কম্পিউটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই কিবোর্ড এর ব্যবহার সম্পর্কে আমাদেরকে ধারণা অর্জন করতে হবে।
আপনারা যদি কি বোর্ডের কাজ সম্পর্কে জানতে চান অথবা কিবোর্ডে কতটি কি থেকে থাকে তা জানতে চান তাহলে অবশ্যই বলব যে ১০৪ টি কি থাকে। তবে কোন কোন কিবোর্ডে 105 থেকে ১০৮ টি কীও থেকে থাকে। তাই কমান্ডের ভিত্তিতে আমরা যখন কিবোর্ড এর মাধ্যমে কোন কিছু টাইপ করে থাকি তখন সেটাকে ৬ ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে এবং আপনারা এই ছয় ভাগের কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত যদি জানতে চান তাহলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানালে আমরা আপনাদেরকে পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী তথ্য প্রদান করতে পারবো।
Leave a Reply