পরিবার কল্যাণ সহকারীর কাজ কি

একজন পরিবার কল্যাণ সহকারীর কি কাজ থাকতে পারে সে প্রসঙ্গে যদি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকেন তাহলে আপনাদেরকে আমরা প্রত্যেকটি বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করব এবং এই পদে যদি আপনি নিয়োগ হয়ে থাকেন অথবা এই পদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার পূর্বে কাজ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সেটা জেনে নিতে পারবেন।

দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের সুবিধার্থে অথবা বিভিন্ন বেকার মানুষদের সুবিধার্থে কোন পদে কি কাজ করা লাগে অথবা কি ধরনের দায়িত্ব গ্রহণ করা লাগে এবং এক্ষেত্রে কি ধরনের চাপের সৃষ্টি হয়ে থাকে তা যদি আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিতে পারি তাহলে সেটা অনেকের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তাই আপনাদের নিজ নিজ ওয়ার্ডে পরিবার কল্যাণ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য আপনারা এই চাকরিতে আবেদন করতে পারেন এবং এই ক্ষেত্রে আপনারা খুব সহজেই নিয়োগ পাওয়ার মাধ্যমে নিজের দায়িত্ব গুলো পালন করতে পারেন।সাধারণত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার মাধ্যমে এই নিয়োগ সম্পন্ন হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন জেলা অনুযায়ী অথবা উপজেলা অনুযায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়ে থাকে বলে সেই অনুযায়ী আপনারা পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ সহকারী পদের জন্য আবেদন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।

এটা একটা ১৭ তম গ্রেডের চাকরি এবং আপনারা যদি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হতে পারেন তাহলে এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং নিয়োগ পেয়ে যেতে পারবেন। নিজ ওয়ার্ডে কাজের সুবিধা রয়েছে বলে আপনারা খুব সহজেই এখান থেকে কাজ করে সুবিধা পাবেন এবং নিজের বাসায় থাকতে পারবেন বলে অনেক সুযোগ-সুবিধা এখানে আপনাদের জন্য রয়েছে।

যেহেতু পরিবার কল্যাণ সহকারীর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারছি তারা পরিবারের কাদের সঙ্গে সংযুক্ত সেহেতু একটা পরিবারের তথ্য জেনে নিয়ে এবং পরিবারের তথ্য ভিজিট করার মাধ্যমে বুঝতে পারবে সেই পরিবারের সক্ষম দম্পতি তাদের দৈনন্দিন জীবনে কত টাকা আয় করছে এবং তার ওপরে নির্ভর করে কতটি সন্তান নিতে পারবে।

এক্ষেত্রে পূর্বে যে সন্তান নিয়েছে সেই সন্তানের কতদিন পরে সন্তান নেবে সে বিষয়ে সঠিক ধারণা প্রদান করা এবং সেই বিষয়ে যদি পরিবার পরিকল্পনা সহকারী দায়িত্ব প্রদান করে থাকেন এবং তাইতো গ্রহণ করার মাধ্যমে সকলকে অবগত করে থাকেন তাহলে সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।

তাই একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী যদি আপনি হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্থাৎ মাঠ পর্যায়ে গিয়ে সক্ষম দম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং এই রেজিস্ট্রেশন এর তথ্য অবশ্যই আপনাদের নির্দিষ্ট রেস্টার্ট খাতাতে থাকতে হবে।

বর্তমান সময়ে জনসংখ্যা যাদের বৃদ্ধি না পায় তার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি গ্রহণ করা হচ্ছে এবং এই ক্ষেত্রে দম্পতিদের পরিবার পরিকল্পনা সেবা সংক্রান্ত ধারণা প্রদান করার মাধ্যমে অধিক জনসংখ্যার কুফল এবং সন্তান মানুস করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত তথ্য গুলো অনুপ্রেরণার মাধ্যমে প্রদান করে থাকেন।

যদি কেউ স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র গমন করে তাহলে তাদেরকে সঠিক পদ্ধতি জানিয়ে দিতে হবে এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে হবে যাতে করে সেই মা অথবা সেই প্রসূতি সঠিক চিকিৎসা পেয়ে থাকে।এছাড়াও গর্ভবতীদের তথ্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং গর্ভকালীন যদি কোন ধরনের সেবা গ্রহণ করতে আসে তাহলে অবশ্যই তাদেরকে তারা সাহায্য করতে হবে। নিরাপদ প্রসব সেবা প্রদান করতে হবে এবং প্রসব পরবর্তী কি কি ধরনের নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে তা যদি জানিয়ে দেওয়া যায় তাহলে একজন গর্ভবতী মাসে অনুযায়ী প্রত্যেকটি কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

তাছাড়া শিশু জন্মগ্রহণ করার পর তাদেরকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রদান করার পাশাপাশি তাদের পশ্চিম নিশ্চিত করা এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খাওয়ানোর বিষয় সঠিক তথ্য প্রদান করার পাশাপাশি এগুলোর আয়োজন করতে হবে এবং শিশুদের টিকা দান কর্মসূচির জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেগুলো সকলের মাঝে প্রদান করতে হবে।