বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম কবে চালু হয় | কত সাল থেকে

Rate this post

বয়স্ক ভাতা সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে একটা গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি যার মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র এবং স্বল্প উপার্জনের ব্যাক্তিরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর সরকারিভাবে টাকা পেয়ে থাকেন। একটা বয়স পরে মানুষ যখন উপার্জনের জন্য সক্ষমতা ধরে রাখতে পারেন না অথবা বৃদ্ধ বয়সে যখন কারো কাজ করার ক্ষমতা থাকে না তখন তাকে পরিবার-পরিজনদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। আর এই ক্ষেত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম চালু করেছেন অনেক আগে থেকেই যাতে করে প্রত্যেকটা ব্যক্তি এই কার্যক্রমের আওতাভুক্ত হতে পারে।

তবে আপনাদের প্রশ্ন হচ্ছে যে বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম কত সাল থেকে চালু হয় এবং সেটা আপনাদের উদ্দেশ্য করে আমরা এখানে জানিয়ে দেবো। সেই সাথে অতীত থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বয়স্ক ভাতা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে কি কি পরিবর্তন এসেছে তাও জানিয়ে দেওয়া হবে। সাধারণত পারিবারিকভাবে অসচ্ছল ব্যক্তিরা সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে উপজেলা ভিত্তিক যে অফিসগুলো রয়েছে সেখানে আবেদন করার ভিত্তিতে এই ভাতা নির্দিষ্ট সময় পর পর পাবে।

বর্তমানের নিয়ম অনুযায়ী বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যেক তিন মাস পর পর প্রদান করা হচ্ছে এবং প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে সর্বমোট ৩ মাস পর পর ১৫০০ টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। তাই যারা বয়স্ক ভাতা পেয়েছেন তারা প্রত্যেক মাসে এই টাকা নিয়মিতভাবে পেয়ে যাচ্ছেন। তবে যাদের মৌখিকভাবে বয়স হয়ে থাকলেও এনআইডি কার্ডে বয়স হয়নি তাদেরকে এই ভাতা প্রদান করার আওতাভুক্ত করা হচ্ছে না। অর্থাৎ নতুন তথ্য অনুযায়ী আপনার বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য এন আইডি কার্ডের তথ্য ওয়েব সাইটে লিপিবদ্ধ করার মাধ্যমে যাচাই করে দেখবে আপনি বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হয়েছেন কিনা।

যদি আপনার বয়স পূর্ণ হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আবেদন করতে পারবেন এবং বর্তমানের নিয়ম অনুযায়ী স্বল্প আয়ের লোকজন এই ভাতা নিশ্চিতভাবে পেয়ে যাবেন। বর্তমান সরকার অনুযায়ী আমরা এটা দেখতে পেয়েছি যে অনেক বৃদ্ধ মানুষ বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য আওতভুক্ত হয়েছে এবং তিন মাস পর পর মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এ টাকা পেয়ে যাচ্ছে। অতীতে টাকা পাওয়ার দিনে আলাদা হবে একটা জায়গায় নিয়ে গিয়ে পাস বইয়ে সুন্দরভাবে সিগনেচার করার মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হলো বর্তমান সময় মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হচ্ছে।

ফলে একজন ব্যক্তিকে কষ্ট করে সেই টাকা উত্তোলন করার জন্য ভিড়ের মধ্যে যেতে হচ্ছে না। তাই সেই বৃদ্ধ ব্যক্তির নিজস্ব মোবাইল ফোনের মোবাইল ব্যাংকিং এর একাউন্টে অথবা পরিবার পরিজনের কোন একজন মানুষের একাউন্টে টাকা গ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে বলে সেখানে টাকা পেয়ে যাচ্ছে এবং সেই টাকা উত্তোলন করতে পারছেন। তাছাড়া বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য আপনি যদি যোগ্য বলে বিবেচিত হন তাহলে কতটি কার্ড আসলো এরকম কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট উপজেলায় যতটি কার্ড আসে ঠিক তত জন ব্যক্তিকেই বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকলেও বর্তমানে যত জন আবেদন করবেন এবং আবেদনের সকল শর্ত পূরণ করবেন তাদেরকে এই বয়স্ক ভাতা প্রদান করার ব্যবস্থা চালু করেছেন কর্তৃপক্ষ। তবে আপনারা যেহেতু বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম কবে থেকে চালু হয়েছিল তা জানতে হলে তো বলব যে তৎকালীন সময়ে ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে এই সিস্টেম চালু করা হয় এবং সেই অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

আর সেই ব্যক্তিতে পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৯৯৮ সাল থেকে বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম পুরোপুরি ভাবে চালু করা হয়। স্বাভাবিকভাবে এই প্রশ্নের উত্তর জেনে নাও থাকলেও অনেক চাকরির পরীক্ষায় অথবা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই প্রশ্ন প্রদান করা হয়। বিশেষ করে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে কোন ধরনের নিয়োগ পেয়ে থাকলে এখানকার এই প্রশ্নপত্রে আপনারা এমন প্রশ্ন পেতে পারেন। আশা করি বয়স্ক ভাতা কত সাল থেকে চালু হয়েছে তার উত্তর জেনে নিতে পেরেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button