
প্রত্যেকটি সফল পুরুষের পেছনে একটি করে সফল নারীর গল্প রয়েছে আর এই সফল নারীটি হলেন আমাদের বঙ্গমাতা। আর শেখ ফজিলাতুন্নেসা ছিলেন আমাদের বঙ্গমাতা। বঙ্গমাতা ছিলেন বাংলাদেশের মহান নায়ক ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী। বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার করার ক্ষেত্রে বঙ্গমাতার অবদান রয়েছে প্রতিটি ধাপে ধাপে। মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু হওয়ার পিছনে যে গল্পটা ও জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে যে অবদান তিনি আর কেউ নন তিনি আমাদের অহংকার তিনি আমাদের গর্ব তিনি এ দেশের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা। তাই আপনারা যারা বঙ্গমাতা কে নিয়ে কবিতা সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে তা জানিয়ে দেব। আর আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে আগ্রহী তারা আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর জেনে নিন আপনাদের কাঙ্খিত এ বিষয়টি সম্পর্কে।
আমরা আপনাদের কথা ভেবে প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েব সাইটে সাম্প্রতিক বিষয়ে ও আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার ক্ষেত্রে এ সকল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানিয়ে দেই। তাছাড়া শিক্ষা সংক্রান্ত সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা সহজ ও সরল ভাষায় প্রশ্নের উত্তর প্রকাশিত করি। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন আর জেনে নিন আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরগুলো সম্পর্কে। তাছাড়া আপনারা যারা আপনাদের অজানা তথ্য গুলো জানার জন্য গুগলে সার্চ করছেন সার্চ করার সাথে সাথে আপনারা আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে আপনাদের কাঙ্খিত অজানা তথ্য গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে। তাছাড়া আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর গুলো কোন ঝামেলা ছাড়াই খুব সহজ পদ্ধতিতে ডাউনলোড করতে পারবেন।
আমাদের নারী জাতির অহংকার আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী ও আমাদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা। বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করায় এই মহান নারীর অবদানের কথা শেষ করা যাবে না। যিনি সোনার বাংলা নির্মাণের আরো একটি কারিগর। যিনি কখনো নিজের সুখ-শান্তি ভোগ বিলাসের কথা ভাবেনি। প্রতিনিয়ত বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের সঙ্গে লড়াই করে গিয়ে ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বন্দী জীবনের তিনি কখনো ভেঙে পড়েনি তিনি প্রতিনিয়ত শক্ত হাতে সব কিছু সামাল দিয়েছে এক হাতে। তিনি এক সাহসী নারী তিনি তার আত্মবিশ্বাস কে দুর্বল করেননি। প্রতিনিয়ত বাঙালি জাতিকে সাহস দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় দিয়েছেন।
বঙ্গমাতা কে নিয়ে কবিতা
বঙ্গ মাতা
হে আমাদের মমতাময়ী বঙ্গমাতা
সর্বাধিক স্নেহময়ী মা,
যার স্নেহ গোলাপের মত উপাদেয়।
সেই তুমি বঙ্গ মা।
তোমার শান্ত হাসি”
একটা নীরব প্রতিফলন”.
তোমার এই মহানুভবতার
তোমার মাতৃরূপের।
বাংলাদেশের তোমার যুবক সন্তানেরা।
তখন যুদ্ধ করেছে
স্বদেশ রক্ষার জন্য!
যখন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত তোমার ভূমি
যখন হানাদার তোমার বুকে হত্যার মিছিলে ব্যস্ত
তোমার লাখো সন্তানের বুকে বেয়নেটের আঘাতে।
রক্তের নদী প্রবাহিত করেছে ।
তোমার পবিত্র বুকে।
কেবল
তুমিই দেখেছো মা ।
আমাদের আন্তরিক সততা
সত্যের জয়জয়কার ধ্বনি।
দুর্বল প্রতিরক্ষা ছিল
প্রশান্ত জীবন উদাহরণে!
তোমার সন্তান জীবন দিতে ,করেনি কৃপণতা।
তোমার সন্তান রক্ত দিয়েছে।
পবিত্র সে দান।
সে পেল শহীদের সম্মান ।
বীর “গাজীর সম্মান।
মা তোমার সন্তান ।
রেখেছে তোমার সম্মান।
হে আমার বঙ্গ মাতা।
আমাদের বিশুদ্ধ আত্মাহুতি ,
বিশ্বস্ত নীরব ত্যাগ ।
তোমার মুক্তির জন্যই।
তোমরা যারা বাংলাদেশে এখন যুবকের দল
লাল ব্যথা অনুভব কর,
রক্তে রাঙ্গা এক ব্যথা অনুভব
অশ্রু তোমার গড়িয়ে পড়ে
আমাদের গৌরবময় সৈন্যদলের জন্য.
আমাদের বীর যুদ্ধাদের জন্য ।
আমাদের শহীদ ভাইদের জন্য।
যারা জীবন দিয়ে “
একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছে।
আপনার মায়ের মাথা উচু করতে
যে সন্তান দিয়েছে প্রাণ ।
বুকের তাজা রক্ত ।
আপন মায়ের সম্মান উত্তাপিত করে।
যে বিশ্বের বুকে দিয়েছে পরিচয়।
আপন মাতৃভূমির।
আমারাও সবসময় রক্ষা করবো সেই ভূমি
এসো সপথ করি।
আমরাও সেই রাস্তায় দিবো প্রাণ।
রাখবো মায়ের সম্মান ।
যে পথে যুদ্ধ করেছে আমাদের শহীদেরা।
হে আমার বঙ্গ জননী।
আমরা বাংলাদেশের তোমার বীর সন্তান।
” তোমার তরে প্রাণ দিবো নীরবে
যতদিন পদ্মা ,মেঘনা ,গৌরী রবে বহমান।
যতদিন বেচে রবে তোমার বঙ্গ সন্তান।
এবং নীরবে মরে।
আমাদের নীরব আত্মাহুতি
আমরা তোমার মহিমায় করিবো উৎসর্গ!
হে আমার বঙ্গমাতা।
তোমার মায়ার ভালবাসা ।
সবসময় আমাদের দেয় পাহারা।
তোমার তরে।
এই দেশের নীরে।
হে আমার বঙ্গ মাতা
তুমি তো সবার রাণী
তুমি পুণ্য সিংহাসনে বসবে
মাথায় রেখে মহিমান্বিত গৌরব
সে গৌরব দেখবে মহাবিশ্ব
সবুজের গোলাপ থাকবে তোমার মুকুটে
তোমার নাম থাকবে সবার ঠোটে।
কখনো সবুজ পথে চেয়ে
হৃদয়ের বিশুদ্ধতা খোঁজে পাই মা
তোমার রূপ কত মধুর মা
গর্ভে মন থেকে বের হয় একটি কথা।
তোমার কোলে রাখতে চাই মাথা
ভুলতে চাই মনের যত ব্যথা।
তুমি পবিত্র আলোয় যে আলোকিত করেছ।
ঈশ্বরের পবিত্র মন্দিরে আরোহন করে।
পৃথিবীর বুকে নেমে আসা জান্নাত তুমি।
তুমি চোখ কে করেছ শীতল।
এই সবুজ মায়া দেখিয়ে।
যে প্রাচীন মানুষের ব্যথা
যে আদি পাপ
যে বিভেদ ছিল মানুষের মনে।
তুমি দূর করেছ ভালবেসে।
স্বর্গীয় মা তোমাকে
“মা” “বলে ডাকি।
আমাদের এই মাতৃ প্রেম
তোমার এই স্বর্গীয় মিষ্টি আদর
আমাদের জন্য
হে আমার বঙ্গমাতা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এদেশে স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে যেমনটা অবদান রয়েছে তেমন অবদান রয়েছে বঙ্গমাতার। তাই প্রতি বছর তার জন্মবার্ষিকীতে নানা আয়োজনে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এই দিনটি কে পালন করে হয়। আর এই দিনটিকে ঘিরে নানান ধরনের কবিতা ছড়া গান নানা আয়োজন করা হয়। আপনাদের বঙ্গমাতা সম্পর্কে অনেক তথ্য জানিয়ে দিলাম এখন জানিয়ে দেবো বঙ্গমাতা সম্পর্কে কবিতা। “জাতির পিতা সব সংগ্রাম তুমি হে বঙ্গমাতা অনিমা মুক্তি গোমেজ বঙ্গমাতা তুমি ওগো বঙ্গমাতা তোমারে সেলাম বঙ্গমাতা”।” হে আমার মমতাময়ী বঙ্গমাতা সর্বাধিক স্নেহময়ী মা তুমি বঙ্গমাতা”। আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি থেকে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
বঙ্গমাতা
পূণ্যে পাপে দুঃখে সুখে পতনে উত্থানে
মানুষ হইতে দাও তোমার সন্তানে
হে স্নেহার্ত বঙ্গভূমি, তব গৃহক্রোড়ে
চিরশিশু করে আর রাখিয়ো না ধরে।
দেশদেশান্তর-মাঝে যার যেথা স্থান
খুঁজিয়া লইতে দাও করিয়া সন্ধান।
পদে পদে ছোটো ছোটো নিষেধের ডোরে
বেঁধে বেঁধে রাখিয়ো না ভালোছেলে করে।
প্রাণ দিয়ে, দুঃখ স’য়ে, আপনার হাতে
সংগ্রাম করিতে দাও ভালোমন্দ-সাথে।
শীর্ণ শান্ত সাধু তব পুত্রদের ধরে
দাও সবে গৃহছাড়া লক্ষ্মীছাড়া ক’রে।
সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী,
রেখেছ বাঙালী করে, মানুষ কর নি।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (চৈতালি হতে সংগ্রহীত)
আশা করছি আপনারা যে প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জেনে নিতে চাচ্ছেন এই বিষয়টি সম্পর্কে উপরোক্তা আলোচনা থেকে আপনারা তা পেয়ে যাবেন। তাছাড়া যে কোন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর ও শিক্ষা বিষয়ক যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর গুলো জানার জন্য আপনারা নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। আর শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য জানার থাকলে বারবার ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
Leave a Reply