
প্রিয় দিনাজপুর বোর্ডের শিক্ষার্থীবৃন্দ আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে তোমাদের সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা মনে করি যে যাদের সার্টিফিকেট সংশোধন করার প্রয়োজন তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা জানিয়ে দিলে তারা সঠিক নিয়ম অনুসরণ করেই কাজটি করতে পারবে। তাই নিজেদের সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য তোমরা যদি নিজেরা বিভিন্ন অফিসে গিয়ে এই কাজগুলো করতে চাও তাহলে বলব যে সবচেয়ে ভালো কাজ করবে এবং যদি তোমরা কোন লোকের মাধ্যমে এই কাজটি করতে চাও তাহলে তোমাদেরকে অধিক পরিমাণ টাকা খরচ করার পাশাপাশি অনিশ্চয়তায় ভুগতে হবে।
তবে যাই হোক দিনাজপুর বোর্ড থেকে যারা মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং উত্তীর্ণ হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট উত্তোলনের সময় অথবা তার পরবর্তীতে যদি লক্ষ্য করতে পারো সার্টিফিকেটের তথ্যপত্র ভুল রয়েছে, তাহলে তোমাদেরকে নিজ দায়িত্বে তা সংশোধন করতে হবে এবং এই সংশোধন করার প্রক্রিয়া অত্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। কারণ এক্ষেত্রে তোমাদেরকে এফিডেভিট করানোর পাশাপাশি অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিতে হবে এবং বিজ্ঞাপন দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া থেকে শুরু করে শিক্ষা বোর্ড পর্যন্ত পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অনেক সময় লাগবে।
আমরা যখন কোন সার্টিফিকেট সংশোধন করতে চাইবে তখন তোমাদের কে সর্বপ্রথম এ বিজ্ঞাপন এর পেপার কাটিং এবং এফিডেভিট নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট আবেদনপত্র জমা দিলে তারা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন এবং তোমাকে এই সার্টিফিকেট সংশোধন করার ব্যাপারে সাহায্য প্রদান করবেন। সার্টিফিকেশন শোধন করার ব্যাপারে তারা অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে অর্থাৎ শিক্ষা বোর্ডের যে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে গিয়ে তোমার সার্টিফিকেট সংশোধনের ব্যাপারে একটি প্রোফাইল ওপেন করতে সাহায্য করবে এবং এক্ষেত্রে প্রোফাইল ওপেন হয়ে গেলে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করে পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করতে হবে।
এখানে পরবর্তী ধাপ বলতে গেলে টাকা পেমেন্ট এর মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের এই সিস্টেম অর্থাৎ তোমার টাকা পেমেন্ট এর যাবতীয় ডকুমেন্টস প্রদর্শন করার মাধ্যমে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটি প্রোফাইল ওপেন করবে এবং সেই প্রোফাইল এর মাধ্যমে কোন কোন তথ্য সংশোধন করার প্রয়োজন তা দেখে নেবে। তথ্য সংশোধন করার জন্য জেলা তথ্য প্রদান করতে হবে সেগুলো প্রদান করার পাশাপাশি প্রমাণাদি হিসেবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিয়ে দিতে হবে।
এভাবে অফিসের ওয়েবসাইট এর কাজ শেষ করে একদিন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অফিসে চলে যেতে হবে এবং সেখানে তোমার এফিডেভিট থেকে শুরু করে পেপার কাটিং এবং অন্যান্য কাগজপত্র সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিবেন। তবে মনে রাখতে হবে যে অবশ্যই ভুল সার্টিফিকেট সাথে নিয়ে যেতে হবে এবং তার সেই সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার পরিবর্তে তোমাদেরকে অল্প কিছু দিনের ভেতরেই সংশোধিত সার্টিফিকেট প্রদান করবেন।
এছাড়াও অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো তোমরা হতে জানানো এবং এক্ষেত্রে তোমরা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ করে এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে কাজটি করলে সব চাইতে ভালো কাজ করবে। আর যদি কোন বিষয়ে তোমাদের কনফিউশন থেকে থাকে তাহলে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা অবশ্যই সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কিত যেকোন প্রশ্ন আমাদের কি করতে পারো।
Leave a Reply