আপনি কি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন? যাইহোক কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকুন না কেন সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আপনাদেরকে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয় সেই সার্টিফিকেট গ্রহণ করার সময় অবশ্যই যাচাই করে নিবেন যে এখানে কোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি হয়েছে কিনা। তবে সার্টিফিকেটে কোন ধরনের ভুল-ভ্রান্তি হয় না এবং যদিও ভুল হয় তাহলে তার পরিমাণ খুবই কম এবং এই ভুলের সংখ্যা হাতে গোনা যাই।
যাই হোক আপনি যদি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কোন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ হয়ে থাকেন এবং সেই কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট সংশোধন করতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত নিয়ম জেনে নিন। আপনাদের কথা হবে আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে এবং আপনি যদি মনে করেন আপনার সার্টিফিকেট সংশোধন করার প্রয়োজন তাহলে শেষ পর্যন্ত এই তথ্য দেখে নিলেই সব চাইতে ভালো কাজ করবেন।
আমরা জানি যে সার্টিফিকেট দীর্ঘদিনের পড়াশোনার ফলাফলের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অর্জিত একটি ডকুমেন্ট এবং এই ডকুমেন্টসের মাধ্যমে আপনি পড়ালেখায় কেমন পারদর্শী ছিলেন তা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। তাই সার্টিফিকেটের কোন ধরনের ভুল প্রান্তে থাকা যাবে না এবং এক্ষেত্রে জন্মতারিখ সংক্রান্ত অথবা পিতা মাতার নাম সংক্রান্ত ভুল হয়ে থাকে তাহলে নিজের কাগজপত্র পরিবর্তন করার পরিবর্তে আপনাদেরকে সার্টিফিকেট সংশোধন করলে সব চাইতে ভালো কাজ করা হবে।
তবে যাইহোক আপনারা যখন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের শিক্ষার্থী তখন আপনাদেরকে সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য প্রথমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে উপস্থিত হতে হবে। তাদেরকে এই বিষয়টি জানানো হলে তারা যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে অথবা যে পদ্ধতি বলে দেবে সে অনুযায়ী কাজ করলে আপনারা দ্রুত সার্টিফিকেট সংশোধন করতে পারবেন। যদিও সার্টিফিকেট সংশোধন করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় লাগে তারপরও আপনাদের যদি একটু জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজন হয় তাহলে আপনারা কমপক্ষে হাতে 30 দিন সময় রেখে কাজটি করবেন।
অর্থাৎ শিক্ষা বোর্ড ছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে এ কাজটি হয়ে থাকে বলে বিভিন্ন অফিসের মাধ্যমে হাত বদল হতে থাকে কাগজপত্র এবং এর মাধ্যমে একটা সময় আপনি সংশোধিত সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন। সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে এফিডেভিট করা লাগে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া লাগে। তাছাড়াও সোনালী ব্যাংকের একাউন্টে দুইবার টাকা প্রদান করা লাগবে এবং এই টাকা অবশ্যই যেন শিক্ষা বোর্ডের অফিসে গিয়ে পৌঁছায় সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট নাম্বারে অথবা নির্দিষ্ট ঠিকানায় টাকা পাঠাতে হবে।
যাই হোক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আপনারা যখন সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা প্রদান করবেন তখন সেই টাকা প্রদান করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপনাদের একটি প্রোফাইল ওপেন করে আপনার কি সম্ভ্রান্ত ভুল রয়েছে অথবা কি সংক্রান্ত তথ্য সংশোধন করতে চান এই বিষয়গুলো অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে শিক্ষা বোর্ডে যেদিন উপস্থিত হবেন সেদিন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তাদেরকে জমা দিলে তারা আপনাদের থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় নিবে এবং কিছু দিনের ভেতরেই আপনাকে সংসদে ও সার্টিফিকেট প্রদান করবে।
Leave a Reply