
সুপ্রিয় ভিজিটর, আজকে আপনাদের জন্য একটি সুন্দর পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। যারা জমির মালিকানা বের করার উপায় জানতে চান তাদের জন্য এই পোস্টটি করা হয়েছে। অনেকেই আছেন জমির মালিকানা কার নামে আছে তা দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করেন। আবার আপনি একটি জমি কিনবেন বলে ঠিক করেছেন এবং সেই জমি আসলেই সেই ব্যক্তির কিনা তা যদি জানতে চান তাহলে জমির মালিকানা বের করার নিয়ম শিখে ফেলুন।
এটি যেমন আপনার কাজে দেবে তেমনি পরবর্তী সময়ে যেকোন প্রয়োজনে আপনি এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করে মালিকানা বের করতে পারবেন। তাহলে আপনারা ঘরে বসেই এখন অনলাইনের মাধ্যমে জমির মালিকানা বের করার উপায় জানতে পারবেন। চলুন আমরা অনলাইনে কিভাবে জমির মালিকানা বের করতে হয় তা শেখার চেষ্টা করি।
কোন এক জায়গায় আপনার যদি জমি কেনার প্রয়োজন হয় এবং সেই জমির মালিক যদি আপনার সাথে কথা বলে, তাহলে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনারা খতিয়ান নাম্বার এবং দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকানা সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে পারবেন। এতে আপনি প্রতারিত হতে পারবেন না। তাছাড়া আপনি কোন জমি ক্রয়ের পরে তার সরকারি খাতায় নাম উঠেছে কিনা তার জন্য জমির মালিকানা দেখতে হয়।
এই জমির মালিকানা দেখতে পারবেন আপনারা ভূমি অফিসে না গিয়ে। তার জন্য আপনার হাতে যদি ইন্টারনেট সংযুক্ত একটি এন্ড্রয়েড ফোন থাকে এবং আপনার কাছে যদি খতিয়ান নাম্বার থাকে তাহলে খুব সহজেই জমির মালিকানা আপনারা জানতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অনলাইন আমাদের অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ।
আচ্ছা আপনি অনলাইনের মাধ্যমে নামজারি খতিয়ান এবং বিভিন্ন ধরনের খতিয়ান বের করতে পারবেন। অনলাইনে জমির মালিকানা কিভাবে দেখতে হয় তা আজকে আপনাদের আমরা হাতে কলমে শিখিয়ে দেবো। আপনারা নিচের দেওয়া উল্লেখিত একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন এবং সেখানে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের মাধ্যমে অনলাইনে জমির মালিকানা দেখতে পারবেন। তাছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন খতিয়ান কিভাবে সংগ্রহ করতে হয় তাও আপনাদের আজকে দেখিয়ে দেবো। মূলত অনলাইনে জমির মালিকানা দেখতে হলে আপনাদের আর এস খতিয়ান দেখতে হবে। তাহলে আর এস খতিয়ান দেখতে হলে কি করতে হবে চলুন আমরা তা দেখে নিই।
অনলাইনে যদি জমির মালিকানা দেখতে চান তাহলে গুগল ক্রোমে চলে যাবেন। এখানে গিয়ে আপনারা ল্যান্ড ডট gov.bd লিখে সার্চ করবেন। প্রথম প্রেমের প্রথম যে ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হবে সেই ওয়েবসাইটে আপনারা প্রবেশ করবেন। ওয়েবসাইটের একটু নিচের দিকে স্কুলে পড়ে যাবেন এবং সেখানে আরএস খতিয়ান দাগ খতিয়ান নামক অপশন পাবেন। যদি খতিয়ান নামক অপশনে প্রবেশ করেন তাহলে আপনার আর এস খতিয়ান নির্বাচন করবেন। আর যদি আর এস খতিয়ান এর সরাসরি প্রবেশ করেন তাহলে কোন কিছু নির্বাচন করার প্রয়োজন নেই।
আরএস থেকে প্রবেশ করার পরে আপনাদের বিভাগের নাম, জেলার নাম, উপজেলার নাম এবং মৌজার নাম সিলেক্ট করতে হবে। আপনারা যদি এখন সঠিক ভাবে সিলেক্ট করেন তাহলে আপনাদের পরবর্তীতে আরো চারটি অপশন দেয়া হবে। এই চারটি অপশন এর মধ্যে আপনি ঐচ্ছিকভাবে যেকোনো একটি অপশন পূরণ করতে পারবেন।
অর্থাৎ আপনার আর এস খতিয়ান দেখার জন্য আপনি খতিয়ান নাম্বার অথবা দাগ নম্বর দিয়ে তা দেখতে পারবেন। যেকোনো একটি তথ্য যখন পূরণ করা হয়ে যাবে তখন আপনাকে নীচের উল্লেখিত ক্যাপচা কোড পূরণ করতে হবে। যদি সঠিক ভাবে ক্যাপচা পাসপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্য পূরণ করা হয়ে যায় তাহলে অনুসন্ধান করুন নামক অপশনটিতে ক্লিক করুন।
তাহলে পরবর্তী ঘরে গিয়ে আপনারা জমির মালিকানা নাম অর্থাৎ খতিয়ান কার কার নামে আছে তা দেখতে পারবেন। সেই সাথে এক দাগে কতজন মালিক আছে তাও আপনারা দেখতে পারবেন। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার নিয়ম জানতে পেরেছেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের খতিয়ান মূলক পোস্ট আমাদের ওয়েবসাইটে করা আছে। সেগুলো চাইলে আপনারা দেখতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইটের সূচিপত্রে।
জমির মালিকানা যাচাই করার উপায়
আপনি কি জমির মালিকানা বের করার উপায় জানতে চান? তাহলে দেরি না করে এই পোষ্টের মাধ্যমে দেখানো নিয়ম গুলো শিখে ফেলুন এবং আপনার মোবাইল দিয়েই জমির মালিকানা বের করে ফেলুন। আপনি কোন জায়গায় জমি কিনেছেন এবং সেই জমির মালিকানা আপনার হয়েছে কিনা তা জানতে আপনারা নিচের দেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
আপনার হাতে যদি একটি এন্ড্রয়েড ফোন থাকে এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকে এবং জমির খতিয়ান নম্বর অথবা দাগ নাম্বার জানা থাকে, তাহলে দুই থেকে তিন মিনিটের ভেতরে আপনারা কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন এবং জমির মালিকানা বের করতে পারেন। তাহলে আর দেরি কেন, জমির মালিকানা বের করার এই নিয়ম চলুন আমরা শিখে ফেলি। তাছাড়া এই পদ্ধতি শিখে নেওয়ার মাধ্যমে অন্য যে কাউকে আমরা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সাহায্য করতে পারি।
আপনারা যদি জমির মালিকানা বের করতে চান তাহলে আপনাদের একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমি বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটের নাম হল www.land.gov.bd এই ওয়েবসাইটে আপনারা প্রবেশ করার জন্য যেকোনো ব্রাউজার ওপেন করে ওয়েবসাইটের নাম সার্চ করুন। সার্চ করলে আপনারা ওয়েবসাইটটি প্রথম পেজ এর একেবারে প্রথমে পেয়ে যাবেন। ওয়েব সাইটটিতে প্রবেশ করুন। তারপরে স্ক্রল করে একটু নিচের দিকে নামুন।
উল্লেখিত ওয়েবসাইটের নিচের দিকে নামলে আপনারা আর এস খতিয়ান নামক একটি অপশন পাবেন। এখানে আপনাদের আর এস খতিয়ান এ প্রবেশ করার কথা বলছি এই কারণে যে, আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান পড়লেই আপনারা জমির প্রকৃত মালিকানার নাম জানতে পারবেন। সেজন্য আপনারা আর এস খতিয়ান এ প্রবেশ করবেন। সেখানে প্রবেশ করার পর আপনারা নিম্নলিখিত অপশন গুলো পূরণ করুন।
আর এস খতিয়ান এ প্রবেশ এর পরে আপনাদের সামনে বিভাগ জানতে চাওয়া হবে। সেখানে আপনারা ক্রমানুসারে বিভাগের নাম, জেলার নাম, ও উপজেলার নাম এবং মৌজার নাম উল্লেখ করবেন। সেখানে শুধু আপনারা ক্লিক করলে আপনারা অনেকগুলো অপশন পাবেন। এই অপশন গুলোর মধ্য থেকে আপনারা যে এলাকার আর এস খতিয়ান বা মালিকানার নাম জানতে চাচ্ছেন তারা সঠিক অপশন টি ক্লিক করবেন। আপনার গুলো সঠিকভাবে দিয়ে দেওয়া হলে আপনাদের সামনে আরও চারটি অপশন চলে আসবে।
অর্থাৎ আর এস খতিয়ান জানার জন্য আপনারা বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারবেন এখানে। যদি জমির দাগ নাম্বার এর মাধ্যমে জমির মালিকানা জানতে চান তাহলে তা জানতে পারবেন। আবারো জমির খতিয়ান নাম্বার ধরেও জমির মালিকানা জানতে পারবেন। এছাড়া আপনারা যদি মালিকানার নাম এবং জমি যার নামে রেজিস্ট্রি হয়েছে তার নাম দিয়ে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।
পরের অপশনটাতে গিয়ে আপনারা সঠিক ক্যাপচা পূরণ করবেন। তারপরও যদি আপনারা অনুসন্ধান করুন নামক অপশনটিতে ক্লিক করেন তাহলে আপনাদের সামনে সঠিক তথ্য চলে আসবে। আর এভাবেই আপনারা একটি জমির মালিকের নাম অথবা মালিকানা নাম খুব সহজ উপায় জানতে পারবেন। উপরে উল্লেখিত হাতে-কলমে দেখানো বিষয়গুলো সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন। আমরা যত দ্রুত সম্ভব আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিব।
তাছাড়া আপনারা যদি জনের বিভিন্ন ধরনের খতিয়ান সংগ্রহ করতে চান তাহলে আপনাদের কিছু তথ্য পূরণ করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এই আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার, মোবাইল নাম্বার এবং আরো কিছু তথ্য দেওয়া লাগবে। অবশ্য অনলাইনে যদি আপনারা খতিয়ানের কপি সংগ্রহ করতে চান তাহলে কোন টাকা খরচ করতে হবে না। ভূমি অফিস থেকে যদি অরিজিনাল সার্টিফাইড কপি সংরক্ষন করতে চান তাহলে আপনাদের ইউ ক্যাশ এর মাধ্যমে যাতে সামান্য পরিমাণ টাকা প্রদান করতে হবে। ভূমি সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন যদি আপনারা জানতে চান তাহলে অবশ্যই নির্দ্বিধায় আমাদের ওয়েবসাইটের মন্তব্য করে ফেলুন।
Leave a Reply