মাসিক হওয়ার কতদিন পর বাচ্চা পেটে আসে

মাসিক হওয়ার কতদিন পর বাচ্চা পেটে আসে

সাধারণত বিবাহিত বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরে দম্পতিদের প্রধান লক্ষ্য থাকে সন্তান গ্রহণ করা। যে সকল দম্পতি চায় অনেক তাড়াতাড়ি সন্তান গ্রহণ করতে তারা অবশ্যই কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সে পরিকল্পনার মধ্যে অনেক প্রশ্ন থেকে যায় যে প্রশ্নগুলোর উত্তর তারা খুঁজে বেড়ায়। আজকে যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আমরা আপনাদের জানাতে চলেছি সেটা অবশ্যই আপনাদের কাজে আসবে।

অনেকেই বিভিন্নভাবে জানতে চেয়েছেন যে মেয়েদের মাসিক হওয়ার কতদিন পর বাচ্চা পেটে আসে সে সম্পর্কে। এ বিষয়ে বলতে গেলে অবশ্যই বিস্তার আলোচনা করতে হবে তার কারণ হলো এখানে অনেক মেয়ের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের নিয়ম রয়েছে যেটা সকলের ক্ষেত্রে এক নয়। তাই আমরা একটু গভীরভাবে জানার চেষ্টা করব এ সম্পর্কে এবং অবশ্যই এই প্রশ্নের উত্তর আপনারা আমাদের এখান থেকে খুব ভালোভাবে পাবেন।

ঋতুস্রাবের কতদিন পর গর্ভবতী হতে পারেন মহিলা

সাধারণত একটি স্বাভাবিক ঋতুস্রাবের চক্র থাকে 28 দিনে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রেও কোন কোন মহিলার এই চক্রটি 35 দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। চক্রভেদে ঋতুস্রাবের পর কতদিন পরে একটি মহিলা গর্ভবতী হতে পারে সেটা প্রশ্ন। প্রত্যেকটি মহিলার ক্ষেত্রে একটি আদর্শ সময় রয়েছে এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই আদর্শ সবাইকে মেনে চলা হয়।

এই আদর্শ সময়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে ঋতুস্রাবের প্রথম দিন থেকে ঘুরলে ১১ থেকে ১৪ তম দিন হচ্ছে গর্ভবতী হওয়ার জন্য আদর্শ সময়। তবে কিছু কিছু ডাক্তার ঋতুস্রাবের ৮ নাম্বার দিন থেকে ১৯ নাম্বার দিন পর্যন্ত গর্ভবতী হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময় বলে আখ্যায়িত করেছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে শুরুর দিকে আপনারা 11 থেকে 14 তম দিন মানতে পারেন যদি এই দিনগুলোতে মানার পরও আপনি গর্ভবতী না হতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে অবশ্যই আপনাকে 8 নাম্বার দিন থেকে 19 নাম্বার দিন পর্যন্ত গর্ভবতী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

মাসিকের কতদিন পর সহবাস করলে সন্তান হয়

যাদের বিবাহ হওয়া অনেক দিন হয়ে গেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত সন্তান গ্রহণ করতে পারেননি তারা নিয়মিত এই প্রশ্নটি করে থাকেন। এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মতামত সম্পর্কে জানতে পেরেছি এবং তারা বিজ্ঞানসম্মত বেশ কয়েকটি পদ্ধতি এখানে উল্লেখ করেছেন। এই ফার্টাইল উইন্ডো চেনার গুরুত্বপূর্ণ কিছু লক্ষণ রয়েছে যে লক্ষণ গুলোর মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পারবেন আপনার মাসিকের কত দিন পর সন্তান গ্রহণের জন্য আপনার সময়টি গুরুত্বপূর্ণ।

সাধারণত ডাক্তার তাসনিম জারা যিনি ইংল্যান্ডের একটি ডক্টর তিনি আমাদের এই বিষয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ উওর দিয়েছেন। এই লক্ষণ অনুযায়ী তিনি উল্লেখ করেন যে ৮ম দিন থেকে ১৯ নাম্বার দিন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো মাধ্যমে আপনি যদি সহবাস করেন তাহলে এখানে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও কিছু জিনিস তিনি লক্ষ্য করতে বলেছেন যে জিনিসগুলো এখন আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

সাধারণত মেয়েদের সাদা স্রাব পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গর্ভধারণ এ সঠিক সময় জানা যায়। তিনি এই বর্ণনায় 4টি অবস্থান বুঝিয়েছেন যে 4টি অবস্থানের মধ্যে সবথেকে শেষ অবস্থানে সাদাস্রাবের অবস্থান খুব আঠালো হবে এবং যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে এটাই হচ্ছে সবথেকে ভালো একটি সময় গর্ভধারণের জন্য।

শরীরের তাপমাত্রা ভেবে অনেক সময় তো গর্ভধারণের সঠিক সময় নির্ণয় করা যায়। সাধারণত যে সময় ডিম্বাশয় জড়াতে আসে সে সময় শরীরের তাপমাত্রা সব থেকে বেশি থাকে এবং এটাই হচ্ছে গর্ভধারণ হওয়ার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই আপনি নিয়মিত শরীরের তাপমাত্রা মাপতে পারেন এবং যেই সময় আপনার শরীরের তাপমাত্রা সব থেকে বেশি হবে সেই সময়টুকু কাজে লাগাতে পারেন।

এছাড়াও স্ট্যান্ডার্ড পদ্ধতিতে অনেক সময় গর্ভধারণ হতে পারে অনেকে এবং এই ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে যে নিয়ম হচ্ছে ৮ নাম্বার দিন থেকে 19 নাম্বার দিন পর্যন্ত এই সময়টুকু সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকলে চেষ্টা করবেন এই সময়টুকু মেনে চলার।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*