
বাঙালি কবিতা ভালোবাসে। কবিতার সাথে বাঙালির আত্মার সম্পর্ক। শীত ,গ্রীষ্ম, বর্ষা প্রতিটি ঋতুতেই বাঙালি কবিতা পড়ে, কবিতা কে হৃদয় দিয়ে অনুভব করে। আমাদের আজকের লেখার বিষয় হচ্ছে শীতের কবিতা। শীতের সময় আপনারা যেসব কবিতা পড়তে ভালবাসবেন সেই সব কবিতাগুলো নিয়েই আমরা আজ আলোচনা করব। কোন ধরনের কবিতা শীতের সময় ভালো লাগবে কিংবা কোন কবিতাগুলো শীতের সময় আপনার পড়তে পারেন এগুলো আমরা আপনাদের জানিয়ে দেবো। শীত নিয়ে যদি আপনার কোন কবিতা ফেসবুকে শেয়ার করতে চান তবে সেই কবিতা গুলো কিভাবে সংগ্রহ করবেন তা জানতে পারবেন এখান থেকেই।
বাংলাদেশ হচ্ছে অপরূপ সৌন্দর্যের দেশ। এই দেশে যেমন বৈশাখ ও জৈষ্ঠ মাসে কাঠফাটা রোদ পরে তেমনি পৌষ মাঘ মাসে কুয়াশায় সূর্যকে দেখা যায় না। বাংলাদেশের মানুষ প্রচন্ড গরম যেমন সহ্য করে তেমনি সহ্য করে হাড় কাঁপানো শীতকে। সত্যিই, বাঙালির সহ্যশক্তির তুলনা হয় না।
দীর্ঘদিন গরমে হাঁসফাঁস করতে করতে হঠাৎ করেই শীত আসে। শীত আসার আগে অবশ্য জানিয়েই আসে। এই সময়টুকুতে আমরা শীতের জন্য সকল ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি নিতে পারি। শীত আসার আগেই গরম কাপড়ের ব্যবস্থা করা শুরু হয়। শীতের বাতাস যেন এই সময় আমাদের হৃদয়কে নাড়া দিয়ে যায়।
শীতের সময় গুলোতে প্রেম আরও বেশি মধুময় হয়ে ওঠে। প্রচন্ড ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে নিজের প্রিয় মানুষের সাথে কথা বলা সত্যিই অনেক বেশি আনন্দ দেয়। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে প্রিয় মানুষকে মিষ্টি মিষ্টি প্রেমের মেসেজ করা, রোমান্টিক কবিতা পাঠানো এগুলো শীতের মধ্যেই বেশি জমে ওঠে। শীতের দিনগুলোতে অবশ্য শীত নিয়ে কবিতা পাঠানো যায় প্রিয় মানুষকে।
আপনার অনেকে হয়তো ভাবেন শীতের সময় প্রিয় মানুষকে কোন ধরনের কবিতা গুলো পাঠানো যায়। এমন অনেক কবিতা রয়েছে শীত নিয়ে যা নিজের প্রিয় মানুষের সাথে শেয়ার করা যায়।
তুমি কি শীতের বাতাস হয়ে আসবে আমার জীবনে?
শীতল স্পর্শ দিয়ে যাবে আমার হৃদয়ে?
সেই গ্রীষ্মের শুরু থেকে শুধু তোমার অপেক্ষায়,
তোমার ভাবনায় ভাবনায় হৃদয় হয়েছে উত্তপ্ত
দিবানিশি জ্বলেছে আগুন।
তোমার আশায় আশায় ক্লান্ত হয়েছে শরীরের প্রতিটি অংশ।
একটু শীতল স্পর্শ চেয়েছে তোমার থেকে।
ঠিক যেমন, প্রচন্ড রৌদ্রে নুয়ে পড়া মৃত পায়ে গাছটি একটু শীতল বাতাসে আবার বাঁচার স্বপ্ন দেখে।
আমার হৃদয়টিও হয়েছে ঠিক তেমন
তোমার একটু স্পর্শে এই উত্তপ্ত হৃদয় আবারো জেগে উঠতে পারে।
স্বপ্ন দেখতে পারে তোমায় নিয়ে।
প্রিয় মানুষকে যদি আপনি শীতের সময় কবিতা লিখে পাঠান তবে সে অনেক বেশি খুশি হবে। আপনার মনের কথাগুলো কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারলে সে আপনার ভালবাসার গভীরতা অনুধাবন করতে পারবে।
সেদিন কুয়াশায় তোমার মুখটা স্পষ্ট দেখিনি আমি
দূর থেকে আবছা আবছা দেখেই বুঝেছিলাম, হ্যাঁ এইতো আমার সেই পরিচিত মুখ।
যে মুখটি দেখার জন্য প্রচন্ড ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে আমি গ্রামের মেঠো পথ ধরে হেঁটেছি।
যে মুখটি দেখার জন্য আমি, শীতের সকালে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বেতের বাড়ি খেয়েছি।
তুমি জানো?
আজ স্টেশনে দাঁড়িয়েও কুয়াশায় তোমার মুখ কেন চিনতে পেরেছি?
অভ্যেস।
বুঝেছো?
অভ্যেস।
সেই যে তুমি চাদরে মুখ ঢেকে হেঁটে যেতে আমার সামনে দিয়ে, মনে পড়ে?
২০০ মিটার আগে থেকেই তোমায় আমি চিনতে পারতাম।
তুমি আসছো, সেই পরিচিত ছন্দে হেঁটে।
আজ এত বছর পরেও তোমার সেই হাঁটার ছন্দ আমি ভুলিনি।
ভুলিনি প্রচণ্ড কুয়াশায় আবছা আবছা মুখটা কেমন হয় তোমার।
আমি যে বুকে ধারণ করেছি তোমায়।
তুমি আমার হওনি, তাতে কি আসে যায়?
আমি যে শুধু তোমারই ছিলাম।
এখনো প্রতিটি শীতের কুয়াশায়, আমি শুধু তোমাকে খুঁজি।
খুঁজি তোমার চোখের সেই চেনা দৃষ্টি।
Leave a Reply