রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে এই প্রশ্নটির উত্তর খোঁজার আগে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে যে রাষ্ট্র কি, কবে থেকে রাষ্ট্র কথাটি প্রচলিত হয়। রাষ্ট্র কখন ও কিভাবে উৎপত্তি লাভ করেছে তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। তবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা অতীত ইতিহাস এবং রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কে কতকগুলো মতবাদ প্রদান করেছেন। উল্লেখযোগ্য হল ঐশী মতবাদ, বল বা শক্তি প্রয়োগ মতবাদ, সামাজিক চুক্তি মতবাদ ও ঐতিহাসিক বা বিবর্তন মূলক মতবাদ। প্রাচীন গ্রিসে নাগরিক ও নগর রাষ্ট্র ছিল অবিচ্ছেদ্য। ওই সময় গ্রিসের ছোট ছোট অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠে নগর রাষ্ট্র। যারা নগর রাষ্ট্রীয় কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করত তাদের নাগরিক বলা হতো। তাই বলা যায় রাষ্ট্র পরিচালনার সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম-নীতি যে পুস্তকের মধ্যে দেওয়া থাকে সেটাই হচ্ছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান।

তাই আমরা দেখতে পাই রাষ্ট্রের উদ্ভব বা উৎপত্তি হয় সেই প্রাচীনকাল থেকেই। যখন থেকে মানুষ দলবদ্ধ ভাবে বাস করে তখন শুরু হয় সমাজ। এভাবে আস্তে আস্তে মানুষ যখন সভ্যতার দিকে একটু একটু করে এগোতে থাকে তখন কয়েকটি সমাজ একত্রিত হয়ে একটি গ্রামে পরিণত হয়। এভাবে কয়েকটি গ্রাম মিলে একটি উপজেলা, কয়েকটি উপজেলা নিয়ে একটি জেলা, কয়েকটি জেলা নিয়ে একটি প্রদেশ কয়েকটি প্রদেশ নিয়ে একটি দেশ বা রাষ্ট্র গঠিত হয়। প্রাচীনকালে প্রথমে গ্রিসেই শুরু হয় এই নগর রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের ধারণা। বর্তমানে একদিকে নাগরিকের ধারণা পরিবর্তন করেছে অন্যদিকে নগর রাষ্ট্রের স্থলে বৃহদাকারের জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কোন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমরা যেমন রাষ্ট্রপ্রদত্ত সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও মৌলিক অধিকার ভোগ করি তেমনি আমাদের কেউ রাষ্ট্রের প্রতি কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়।

সেই দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ, আইন মান্য করা, সঠিক সময়ে কর প্রদান করা, সন্তানদের শিক্ষিত করা, রাষ্ট্রের সেবা করা, সততার সাথে ভোট দান ইত্যাদি। এ পর্যায়ে এখন আমাদের দেখাতে হবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে। তার আগে একটি কথা সেটি হল যারা আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটটি এখনো ভিজিট করেননি তারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে দৈনন্দিন জীবন বিষয়াবলী সকল তথ্য প্রকাশ করা থাকে। অর্থাৎ আপনাদের জীবন চলার পথে যে ধরনের তথ্য আপনাদের প্রয়োজন পড়ে সে সকল সকল তথ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা থাকে। আবার আমাদের ওয়েবসাইটের প্রশ্নের উত্তর গুলি অত্যন্ত সহজ সরল ও সাবলীল ভাষায় প্রকাশ করার কারণে আপনারা যে কোন ব্যক্তি আমাদের এই ওয়েবসাইটের ভাষা সহজে বুঝতে পারবেন। আবার আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় যেকোনো তথ্য বা প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে কোন ধরনের একটা এক্সট্রা চার্জের প্রয়োজন হয় না। যেহেতু আপনাদের জীবনে চলার পথে সকল প্রয়োজন, আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যাবেন, পূরণ করতে পারবেন তাই আপনারা আমাদের ওয়েব সাইটে বারবার ভিজিট করুন এবং আমাদের পাশে থাকুন। তাহলে এখন আমরা দেখতে পারি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক অ্যারিস্টোটল।

বর্তমান বিশ্বে যে সকল নেতা-নেত্রীরা বিভিন্ন দেশে পরিচালনা করে থাকেন তাদেরকে অবশ্যই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত হওয়া একান্ত জরুরী। আমাদের সমাজে বিভিন্ন পেশার মানুষ আছে। যিনি যে পেশায় জড়িত অবশ্যই তাকে সেই পেশার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। সে দিক থেকে বিবেচনা করলে আমাদের রাজনীতিবিদদের অবশ্যই রাজনীতির খুঁটিনাটি বিষয় গুলি পুঙ্খানু-পুঙ্খভাবে জানা।

অর্থাৎ সকল নেতা নেত্রীদের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু জানা উচিত বলে আমরা মনে করি। তাহলে অবশ্যই তারা দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে ভালো করতে পারবে। রাষ্ট্রের সাথে জড়িত সবই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু। ব্রিটিশ বিজ্ঞানী হোয়াইট যথার্থই বলেছেন-রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো জ্ঞানের সেই মূল্যবান শাখা যা নাগরিকতা অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবতার সাথে জড়িত সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*